এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন আজ

প্রকাশিত: ০২-০৯-২০২৩ ০৮:৪১

আপডেট: ০২-০৯-২০২৩ ১৫:৩৮

পার্থ রহমান : দেশের যোগাযোগ খাতের নতুন দ্বার খুলছে আজ। দ্রুতগতির উড়াল সড়কের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। ঘন্টা দেড়েক পর দেশের প্রথম উড়াল পথ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্তপ্রায় ১২ কিলোমিটার পথ মাত্র ১০ মিনিটেই পার হওয়া যাবে। ঢাকার চিরায়ত যানজট এড়িয়ে বাঁচবে কর্মঘন্টা আর জ্বালানি খরচ। 

আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। সড়ক যোগাযোগের নতুন যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। ঢাকা বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার দ্রুতগতির উড়াল সড়ক – ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণ কাজে জড়িত দেশি বিদেশী  প্রকৌশলী আর শ্রমিকদের উপস্থিতিতে বেলুন উড়িয়ে ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ উদ্বোধন করবেন।

এরপর উড়াল সড়কের প্রথম যাত্রী হয়ে টোল পরিশোধ করে কাওলা থেকে তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট নামবেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা। এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে উৎসবের সাজে সেজেছে এই পথ। নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। 

আজ উদ্বোধন হলেও রোববার ভোর ৬টা থেকে যাবাহন চলাচল করতে পারবে উড়াল সড়কে। চার লেনের এই সড়ক দিয়ে এয়ারপোর্টের কাওলা থেকে ফার্মগেইট যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট।  

উড়াল সড়কের প্রথম অংশে গাড়ি ওঠা নামার জন্য ১৩টি র‌্যাম্প বা পথ থাকছে। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও এলাকায় যাতে উড়াল সড়কের যানবাহনের শব্দ ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে, সেজন্য কয়েকটি পয়েন্টে শব্দ প্রতিরোধক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। 

উড়াল সড়কের সুবিধা নিয়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলসহ উত্তরবঙ্গের পণ্যবাহী যানবাহন  রাজধানীর যানজট পেরিয়ে টট্রগ্রাম ও মংলা বন্দরসহ নির্ধারিত গন্তব্যে সহজেই যেতে পারবে। রাজধানীবাসীও নানামুখী সুবিধা পাবে এই উড়াল সড়কের। উত্তরা কিংবা এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে কম সময়ে বনানী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, কমলাপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যেতে উড়াল সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন।

১০০ বছরের জন্য নির্মিত এই উড়াল সড়কের নির্মাণকালীন সময় থেকে পঁচিশ বছর পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল নেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানী। ২০ কিলিামিটার এই উড়াল সড়কের যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত পুরো অংশ চালু হবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে।

 

Mustafiz/Bodiar