পার্থ রহমান: আগামীকাল যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে দেশের প্রথম উড়াল সড়ক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’র বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ। মাত্র ১০ মিনিটেই বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট যাওয়া যাবে এই সড়কে। আর গাজীপুর, আশুলিয়া, টঙ্গীসহ রাজধানীর আশপাশের শিল্পঞ্চলের রপ্তানি পণ্যবাহী যানবাহন এই উড়াল সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার যানজট এড়িয়ে চট্রগ্রাম ও মংলাবন্দরসহ গন্তব্যে যেতে পারবে সহজে।
ঢাকার বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওলা থেকে তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার নান্দনিক এই উড়াল সড়ক এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। রঙিন পতাকায় আর বর্ণিল সাজে সেজেছে এই সড়ক।
উড়াল সড়ক দিয়ে এয়ারপোর্টের কাওলা থেকে ফার্মগেট যেতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। উড়াল সড়কটি চালু হলে রাজধানীর যানজট কমবে। আর পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হলে যানজট নিরসন হবে ৩০ ভাগ।
উড়াল সড়কের প্রথম অংশে গাড়ি ওঠা নামার জন্য ১৩টি র্যাম্প বা পথ থাকছে। এর মোট দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার। গাড়ির টোল আদায়ের জন্য কাওলা এলাকার মূল টোলপ্লাজাসহ গাড়ি ওঠা নামার পথে আরো ৬টি টোল প্লাজা থাকবে ।
হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও এলাকায় যাতে উড়াল সড়কের যানবাহনের শব্দ ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে, সেজন্য কয়েকটি পয়েন্টে শব্দ প্রতিরোধক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উড়াল সড়কের যানবাহন নিচে নামার সময় যানজট রোধে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক এএইচএমএস আকতার।
উড়াল সড়কের সুবিধা নিয়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলসহ উত্তরবঙ্গের পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন রাজধানীর যানজট এড়িয়ে টট্রগ্রাম ও মংলা বন্দরসহ নির্ধারিত গন্তব্যে সহজেই যেতে পারবে। রাজধানীবাসীও নানামুখী সুবিধা পাবে এই উড়াল সড়কের। উত্তরা কিংবা এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে কম সময়ে বনানী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, কমলাপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যেতে উড়াল সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন।
রাজধানীর কাওলায় শনিবার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচল করতে পারবে এই উড়াল সড়কে। ১০০ বছরের স্থায়িত্ব ধরে নির্মিত এই উড়াল সড়কের নির্মাণকালীন সময় থেকে পঁচিশ বছর পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল নেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি।
MRP/shimul