কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ভাসমান স্কুল। নিকলী উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নৌকা এবং লঞ্চে সাতটি ভাসমান প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করছে, বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থা। এই বিদ্যালয় থেকে বিনাম‚ল্যে মিলছে বই, খাতা, কলমসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ। লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কুলগুলোতে রয়েছে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিনোদনের ব্যবস্থা।
চারদিকে থৈ থৈ পানি। দূর থেকে লঞ্চ মনে হলেও আসলে এটি একটি বিদ্যালয়। লঞ্চের ভেতরে গেলেই চোখে পড়বে সুসজ্জিত বেঞ্চে বসে শিশুদের লেখাপড়ার দৃশ্য। হাওড়ে ভেসে থাকা এই জলযানে চলছে কোমলমতি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ।
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার ভাঙ্গন কবলিত ছাতিরচর ও শিংপুর ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নৌকা ও লঞ্চে চলছে ৭টি ভাসমান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। যা পরিচালনা করছে, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পপি। ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ভাসমান এসব বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শিখছে সাড়ে ৩’শ শিক্ষার্থী।
প্রতিটি ভাসমান স্কুলে শিশু শ্রেণি থেকে ৫০জন করে শিক্ষার্থীকে পড়ান ২ জন শিক্ষক। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে স্কুল। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য লঞ্চের ভেতরেই রয়েছে বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও বিনাম‚ল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা ও ওষুধের ব্যবস্থা।
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শেষে শিশুদের নিকটতম উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে শুধুমাত্র নিকলীতে এ কার্যএম থাকলেও হাওরের আরও দু’টি উপজেলায় ভাসমান স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানালেন, প্রকল্পের সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম ও নির্বাহী পরিচালক মুর্শেদ আলম।
২০২২ সালে শুরু হওয়া ভাসমান বিদ্যালয়গুলো থেকে এ পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেছে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী।
lamia/shimul