নিজস্ব প্রতিবেদক: ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি এ মাসেই। গেল ২৭দিনে মারা গেছেন ৩০৫ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি। এই হিসাবই জানিয়ে দিচ্ছে পরিস্থিতির ভয়াবহতা। এখনও পর্র্যন্ত সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকায়। তবে বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগজনক মাত্রায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
দিনের পর দিন দাপট বেড়েই চলছে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর। ঢাকায় প্রকোপ শুরু হলেও এরই মধ্যে ছড়িয়েছে সারাদেশে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, অন্তত গত পাঁচ বছরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি এত ভয়াবহ হয়নি।
জানুয়ারীতে ৬, ফ্রেবুয়ারিতে ৩, এপ্রিল ও মে মাসে ২জন রোগী মারা গেছেন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে। তবে জুন মাস থেকে মৃত্যু বাড়তে থাকে। মারা যান ৩৪ জন। আর জুলাইয়ে মারা গেছেন ২০৪ জন। তবে এ মাসের ২৭ দিনেই ডেঙ্গু প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৩০৫ জনের। আর আক্রান্ত হয় ৬৫ হাজার ১০জন। চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা এই মাসেই সর্বোচ্চ।
তথ্য মতে, ২০১৮ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় ১০ হাজার ১৪৮জন। ২০১৯ সালে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৪, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ ও ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২জন আক্রান্ত হয়। আর এ বছর প্রথম আট মাসেই আক্রান্ত হয় এক লাখ ১৬ হাজার ৮৪২ জন। ডেঙ্গুর এমন চোখ রাঙানি বলে দিচ্ছে পরিস্থিতি কতটা খারাপ।
তবে ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি জটিল হলেও চট্টগ্রামে এখনও নিয়ন্ত্রণে বলে জানালেন চিকিৎসক ইলিয়াস চৌধুরী। জোর দিলেন প্রতিরোধের ওপর।
তবে সংক্রমণ কমাতে বাড়ীঘর ও আশপাশ পরিষ্কার রেখে মশা নিধনের ওপর গুরুত্ব দিলেন তিনি।
TH/Bodiar