আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ মাদক ‘ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন’ বা ক্রিস্টাল মেথ এর পাচার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। স্থলপথের পাশপাশি এবার সমুদ্রপথকেও পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এই মাদক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর। এই ক্রিস্টাল মেথ উৎপাদন ও পাচারের মূল কেন্দ্র মিয়ানমারের শান রাজ্য। যেখান থেকে ভয়াবহ মাদকটি পাচার হয় সুদূর নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত। আসে বাংলাদেশ ও ভারতেও।
‘আইস’ নামে পরিচিত ভয়াবহ এক মাদক ‘ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন’ বা ক্রিস্টাল মেথ। এই মাদক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মাদক উৎপাদন ও বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র মিয়ানমারের শান রাজ্য। যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিস্টাল মেথ ব্যবসার কেন্দ্র। মিয়ানমার থেকে মাদক পাচারের জন্য ব্যবসায়ীরা মূলত লাওস, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের সীমানা ব্যবহার করে থাকে। এই এলাকাটিকে মাদক পাচারের ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
ক্রিস্টাল মেথ পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত থাইল্যান্ড ও চীনের স্থলপথে তল্লাশির কারণে এখন সমুদ্রপথেও মাদকটি পরিবহন করছে অপরাধীরা। তারা মধ্য মিয়ানমার থেকে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে পর্যন্ত মাদক পাচার করে থাকে। প্রচুর পরিমাণে ক্রিস্টাল মেথ বাংলাদেশ ও ভারতেও পাচার হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লে¬খ করা হয়েছে।
গত বছর থাই ও চীনা নিরাপত্তা কর্মীরা যে পরিমাণ মাদক আটক করতে সক্ষম হয়েছেন তা আগের বছরগুলোর তুলনায় কম। কর্মকর্তারা মনে করছেন, মাদক পাচারকারীরা প্রতিনিয়ত সমুদ্রপথে নতুন নতুন রুটে মাদক পাচার করছে। তাই এখন সমুদ্রপথের চালানগুলো আটক করার চেষ্টা চলছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক স্থানে ‘কেটামিন’ নামের আরেকটি মাদকের গোপন ল্যাবরেটরি, প্রক্রিয়াজাত করার গুদাম এবং সংরক্ষণাগার রয়েছে। যা এরইমধ্যে উদ্বেগ তৈরী করেছে। এটি পার্টি ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কম্বোডিয়ায় এমন একটি ল্যাব রয়েছে যা বিপুল পরিমাণ কেটামিন তৈরি করতে সক্ষম। কম্বোডিয়াকে মাদক পাচারের অন্যতম উৎপাদন কেন্দ্র এবং ট্রানজিট হিসেবে ধারণা করা হয়।
aleya/sat