মাবুদ আজমী: রাজধানীসহ সারা দেশে আবারও বাড়ছে লোডশেডিং। চলমান তাপদাহের মধ্যে বিদ্যুতের ঘাটতিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। নগরবাসীর অভিযোগ, ঢাকার বেশিরভাগ এলাকায় দিনে গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে হচ্ছে এর দ্বিগুণ। বিদ্যুত বিভাগ জানিয়েছে, জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে বিতরণ কোম্পানিগুলো।
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও। কিন্তু সেই তুলনায় উৎপাদন না হওয়ায় দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে লোডশেডিং।
বিদ্যুত বিভাগ জানিয়েছে, জ্বালানি সংকটে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদনের সক্ষমতা প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু গড়ে দৈনিক উৎপাদন হচেছ প্রায় ৭ হাজার মেগাওয়াট। ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল থেকে উৎপাদন সক্ষমতা সাত হাজার মেগাওয়াট হলেও উৎপাদন করা যাচ্ছে দুই হাজার মেগাওয়াট। আর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা তিন হাজার ৪৪০ মেগাওয়াট হলেও উৎপাদিত হচ্ছে দুই হাজার মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়েছে। কিন্তু জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো পূর্ণক্ষমতায় চালানো যাচ্ছে না। ফলে সরবরাহের ঘাটতি সমন্বয় করতে নিয়মিত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
এদিকে তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানীতেই দিনে গড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত।
জুন মাসে লোডশেডিং আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Azmi/sat