টেকনাফে গত ৮ মাসে ৬৫ জন অপহরণ

প্রকাশিত: ০১-০৬-২০২৩ ০৯:২২

আপডেট: ০১-০৬-২০২৩ ০৯:৪৪

কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় থামছে না। আতঙ্কে দিন কাটছে স্থানীয় বাংলাদেশী ও ক্যাম্পে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের। গত ৮ মাসে ৬৫ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। আশপাশের পাহাড়কেন্দ্রিক কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই অপহরণের সাথে জড়িত। সবশেষ গত ২৮শে এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু। ঘটনার ২৬ দিন পর র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে গহীণ পাহাড় থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়। 

কক্সবাজারের টেকনাফে প্রায়ই অপহরণের ঘটনা ঘটছে। গত ৮ মাসেই ৬৫ জনকে অপহরণ করা হয়েছে। আদায় করা হয়েছে মুক্তিপণ। আবার অপহরণের পর হত্যা করে মরদেহ গুম করার ঘটনাও ঘটছে। 

সবশেষ গত ২৮শে এপ্রিল টেকনাফ উপজেলার রাজারছড়া গ্রামে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন তিন বন্ধু রুবেল, ইউছুপ ও ইমরান। পরে গহীণ পাহাড়ে তাদের বেঁধে রেখে মারধর ও নির্যাতন করে সেই ভিডিওচিত্র পাঠানো হয় স্বজনদের কাছে। মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারি চক্র। মুক্তিপণ না দিলে জিম্মিদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। 

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়ে গত ৯ই মে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অপহৃতদের স্বজনেরা। অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী ১ লাখ টাকা মুক্তিপণও পাঠায়। কিন্তু অপহরণকারীরা যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং ৩ বন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পাহাড় ও আশপাশের জঙ্গলে গোপন আস্তানা তৈরি করে মাদক চোরাচালান ও অপহরণ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। সবশেষ অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই রোহিঙ্গা যুবকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

রোহিঙ্গা ও স্থানীয় অপরাধীদের যোগসাজশে গড়ে উঠা এসব চক্রের কারণে টেকনাফে আতংক দূর হচ্ছে না।  

 

afroza/shimul