নীলফামারী সংবাদদাতা: গ্রীষ্মকালীন হলুদ রঙের তরমুজ চাষে সফল হয়েছেন নীলফামারীর তিন চাষী। বাজারের অন্যান্য তরমুজের চেয়ে বহুগুণ বেশি মিষ্টি এবং এই তরমুজের ভেতরে হলুদ বর্ণ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক ও বাজারে চাহিদা থাকায় এই জাতের তরমুজ আবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
দূর থেকে দেখে মনে হবে মাচায় ঝুলে আছে লাউ-কুমড়া। মাচায় জাল দিয়ে মোড়ানো সারি সারি ব্যাগের ভেতরে ঝুলে আছে হলুদ-সবুজ রসালো তরমুজ। এক সময়ের মৌসুমি ফল তরমুজ এখন চাষ হচ্ছে বছরজুড়ে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় নীলফামারী জেলা সদরের তিন কৃষক ৪৫ শতক জমিতে আবাদ করেছেন তৃপ্তি হলুদ ও ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ। এই তরমুজ ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যেই বাজারজাত করা যায়। চার থেকে সাড়ে চার কেজি ওজনের এই তরমুজ বিক্রি করা যায় ৭০ থেকে ৮০টাকা কেজি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় হলুদ তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
কম সময়ে চাষ ও কম খরচে বেশি লাভের সম্ভাবনা থাকায় এর ফলন ও চাষ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।
আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই জাতের তরমুজ আবাদে কাজ করা হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ। এই নতুন জাতের তরমুজ বিঘা প্রতি একশ মণ উৎপাদন করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
Priyonty/shimul