আজ ঘোষণা হবে নতুন বাজেট

প্রকাশিত: ৩১-০৫-২০২৩ ০৯:৩২

আপডেট: ০১-০৬-২০২৩ ১২:৪৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার (পহেলা জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেট পেশ করবেন। বরাবরের মতই এই বাজেট আকারে বড়, যাতে ব্যয়ের অংক যেমন বড় হবে, তেমনি আয়ের লক্ষ্যও বড়। আয় ও ব্যয়ের ব্যবধানটাও অনেক বেশি থাকবে আসছে বাজেটে।  এবার বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এটি দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪তম বাজেট।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের আগে আজ দুপুরের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন করে নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

নিত্যপণ্যের দামের উর্ধ্বমুখির চাপে মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী অর্থ বছরে সরকারের আর্থিক আয়-ব্যয়ের পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ যাওয়ার পরিকল্পনা তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন অর্থমন্ত্রী। 

বড় বাজেটের খরচ মেটাতে আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫লাখ ৩হাজার ৯শ’ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থ বছরের মূল বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। মোট কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি থাকবে ২লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকঋণ, সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ দেশি উৎস থেকে ১লাখ ৫৫হাজার ৩৯৫কোটি টাকা ঋণ নিতে হবে সরকারকে। আর বৈদেশিক ঋণ হিসেবে আসবে ১লাখ ২হাজার ৪৯০কোটি টাকা। 

নতুন বাজেটে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হচ্ছে। যদিও বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পূর্বাভাসের প্রবৃদ্ধি আরও কম, সাড়ে ৫ শতাংশ। ভর্তুকির সমন্বয়, রিজার্ভের ওপর চাপ আর মূল্যস্ফীতিসহ সার্বিক সংকট স্বীকার করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দারিদ্র্য নিরসনে চরম বৈষম্য দূর করা ও মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখাই হবে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। 

ভর্তুকির সমন্বয়, রিজার্ভের ওপর চাপ আর মূল্যস্ফীতিসহ সার্বিক সংকট স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দারিদ্র্য নিরসনে চরম বৈষম্য দূর করা ও মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখাই হবে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। 

বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খরচ কমাতে রাশ টানা হচ্ছে ভর্তুকিতে। নির্বাচনী বাজেট নয় বরং জনকল্যাণমুখী বাজেট হবে উলে­খ করে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের নানামুখী পদক্ষেপ থাকবে সব খাতে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নির্বাচনী বছর হলেও জনতুষ্টির নয় বরং অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অগ্রাধিকার দিতে হবে বাজেট বাস্তবায়নকে। 

আগামী সাড়ে তিন বছরে আইএমএফ এর ৩৮টি শর্ত পূরণ করতে হবে যার প্রতিফলন থাকবে আসছে বাজেটে।

এর আগে গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করেন। আগামী অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধন অব্যাহত রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং এক্সটার্নাল সেক্টরের বিদ্যমান অস্থিরতা কাটিয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

 

KNR/shimul