আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ খেলাপি হওয়ার যে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল তা অনেকটাই কেটেছে।
রোববার (২৮শে মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার (২৭শে মে) বাইডেন ও ম্যাককার্থি সমঝোতা হওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেন।
অবশ্য তারা দু’জন চুক্তিতে পৌঁছালেও, বিভক্ত কংগ্রেসে এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন লাগবে। এরপরই কাটবে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ খেলাপি হওয়ার শঙ্কা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ তারিখ আগামী ৫ই জুন। নির্ধারিত এই সময়ের (এক্স-ডেট) আগে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে বাইডেন ও ম্যাককার্থি কয়েক দফায় বৈঠক করেন। অবশেষে তারা সমঝোতায় পৌঁছালেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিটিকে একটি ‘আপস’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ চুক্তি আমেরিকানদের জন্য একটি ভালো খবরও। কারণ এর মাধ্যমে বিপর্যয়কর খেলাপি ঠেকানো গেছে। যে খেলাপি অর্থনৈতিক মন্দা, অবসরপ্রাপ্তদের বিধ্বস্ত এবং কয়েক লাখ চাকরি কেড়ে নিত।’
অপরদিকে স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন, ‘এতে ব্যয় সংকোচনের ঐতিহাসিক বিষয়’ রয়েছে। তবে বিলটি পাসে আরও কয়েক ধাপ পেরুতে হবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় ঋণসীমা বাড়ানোর বিষয়ে আগামী বুধবার কংগ্রেসে ভোট হবে।
সরকারি ব্যয় মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে ঋণ নিতে হয়। কারণ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যে পরিমাণ ট্যাক্স আসে, সেই তুলনায় ব্যয় অনেক বেশি হয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দল ডেমোক্রাটিক পার্টির সদস্যরা প্রস্তাব দিয়েছিল ব্যয় সংকোচনের বদলে কিছু খাতের ট্যাক্স বাড়াতে। কিন্ত এটি মানেনি রিপাবলিকান পার্টি। এ নিয়েই তৈরি হয় জটিলতা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
rocky/sat