নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈশ্বিক সংকটে বেশ কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে দেশের কৃষি খাতকে। তেল সার বীজসহ কৃষি উপকরণ ও প্রাণি খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চাপে পড়েছে কৃষক ও খামারিরা। এ অবস্থায় আসছে জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভর্তুুকি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি, কৃষি পণ্য উৎপাদন ও প্রাণি খাদ্য আমদানিতে কর সুবিধা দেয়ার ইঙ্গিত দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
খাদ্য পণ্যের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরকার উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে গত বেশকিছু দিন ধরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এজন্য প্রতি ইঞ্চি জমিতে চাষাবাদ করতে বারবার দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে আসছেন। আসছে জাতীয় বাজেটে তাই কৃষি খাতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে সরকার।
বিগত কয়েকটি বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ সে হারে বাড়েনি। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ ২৫ হাজার কোটির টাকার মধ্যেই ছিল। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বরাদ্দ দেয়া হয় ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এই খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১০ শতাংশ করা উচিত বলে মনে করেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা। আর পোল্ট্রি শিল্পের ব্যবসায়ীরা ভর্তুকি বৃদ্ধি ও প্রাণি খাদ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা চান।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কৃষকের সুরক্ষার জন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের উপর জোর দিতে হবে।
আগামী বাজেটে মৎস্য ও প্রাণি খাদ্য এবং কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি সহজ করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
FM/sat