লাবণী গুহ : দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ হরমোনজনিত রোগ থাইরয়েডের বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত। এরমধ্যে ৩ কোটি মানুষই তাদের রোগটি সম্পর্কে জানেন না। ফলে,দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা দেখা দেয়। ওজন কমে বা বেড়ে যেতে পারে। শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ত্বকের ও হার্টের রোগ এমনকি ক্যান্সার ও বন্ধ্যাত্ব্ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে সনাক্ত ও চিকিৎসা হলে রোগটি সম্পূর্ন নিরাময় সম্ভব।
মানব শরীরেরগলার সামনের দিকের উঁচু হাড়ের নিচে যে গ্রন্থিটি আছে সেটাই থাইরয়েড গ্রন্থি। দেখতে প্রজাপতির মতো গ্রন্থিটি গলার শ্বাসনালীকে পেঁচিয়ে রাখে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ছোট এই গ্রন্থিটি থেকে যে হরমোন নি:সৃত হয়, তা মানব শরীরে পরিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই গ্রন্থি থেকে বের হওয়া হরমোনের তারতম্য হলে,ব্যাহত হয় শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি। শরীর মোটা বা চিকন হয়, বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ বাড়িয়ে দেয়, এমনকি মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব হওয়ারও কারণ ঘটায়।
গর্ভবতী মায়ের যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তবে নবজাতক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নিতে পারে।
প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা করা গেলে সামান্য চিকিৎসাতেই থাইরয়েডের সমস্যার সমাধান সম্ভব।
LGR/shimul