বাজেটে অবহেলিত স্বাস্থ্যখাত

প্রকাশিত: ২৫-০৫-২০২৩ ১৪:৪৭

আপডেট: ২৫-০৫-২০২৩ ১৬:৩৬

লাবণী গুহ: বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে কোন দেশের বাজেটের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ থাকা উচিত। গত কয়েকটি অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ ৬ শতাংশের নিচেই রয়ে গেছে। বৈশ্বিক অতিমারী করোনার পর গত অর্থবছরে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানো হয়েছিলো। তবে বাজেটে যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তারও সঠিক বাস্তবায়ন হয় না। অর্থ ফেরত যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণেই এমনটা হয়। আর এর সামগ্রিক প্রভাব পড়ে জনগণের ওপর। 

দেশের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রায়শই অসন্তষ্টি প্রকাশ করেন রোগীরা। বিশেষত সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে পর্যাপ্ত সেবা না পাওয়ায় রোগীরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যেমন যান, তেমনি ছোটেন বিদেশেও। এতে করে বেড়ে যায় রোগীর ব্যয়।

করোনা অতিমারি দেশের স্বাস্থ্যখাতের প্রকৃত চিত্রটা তুলে ধরলে নড়েচড়ে বসেন নীতি নির্ধারকরা। ঘাটতি পূরণে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। তবে, সেটিও ৬ শতাংশের নিচে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্যবাজেট একটি নির্দিষ্ট বৃত্তেই আটকে আছে। যেটুকু বরাদ্দ হয়, তারও কিছু অংশ খরচ না হওয়ায় ফেরত যায়। সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তা সমাধানে অর্থব্যয় কিভাবে হবে তার জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা। 

এদিকে,বাজেটে বরাদ্দের বড় একটা অংশ চলে যায়, ব্যবস্থাপনা ব্যয়ে ও কেনাকাটায়। যেখানে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি দেখা যায়। তাই এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকলে খরচ ও বরাদ্দ দুটোই বাড়ানো সম্ভব।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের গবেষকসুব্রত পালমনে করেন, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ালেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। বরং প্রয়োজন অনুযায়ী অতি জরুরি ও জরুরি খাতগুলোতে চিহ্নিত করে বরাদ্দ দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাস্থ্যখাতকে আলাদা করে ভাবতে হবে। সেই সাথে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে একটা টাস্কফোর্স গঠন করার পরামর্শ দেন তারা।

 

LGR/shimul