ঘূর্ণিঝড় মোখা: সাগরে ভাসছে পণ্যবাহী জাহাজ

প্রকাশিত: ১৪-০৫-২০২৩ ১০:৪৭

আপডেট: ১৪-০৫-২০২৩ ১০:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব থেকে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম বন্দর জেটি থেকে সব জাহাজ গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আগে থেকেই বহির্নোঙরে ছিল পণ্যবাহী ৪২টি জাহাজ। সব মিলিয়ে নিত্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এখন গভীর সাগরে ভাসছে ৬২টি জাহাজ। 

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল হলেও এসব জাহাজ ঢেউয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে টিকতে পারে। কিন্তু জেটিতে থাকলে ঢেউয়ের ধাক্কায় জেটিতে আঘাত লেগে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তাই জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চ্যানেলে ডুবে নৌপথ বন্ধ করে দেওয়ার শঙ্কা থাকে। সে জন্য ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এই নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বন্দর। 

জানতে চাইলে  চট্টগ্রাম বন্দরসচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে বন্দর জেটি, জাহাজ ও স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে বড় জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সাগরে পাঠানো জাহাজগুলো যাতে সার্বক্ষণিক ইঞ্জিন চালু রাখে, সে জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। আবার এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজ নির্ধারিত দূরত্বে নোঙর করে রাখতে বলা হয়েছে। 

শনিবার হালনাগাদ করা বন্দরের তালিকা অনুযায়ী, সাগরে থাকা বড় জাহাজগুলোর মধ্যে ১১টি কনটেইনার জাহাজ। কনটেইনারবিহীন জাহাজে চিনি, খাদ্যশস্য, লবণ, সিমেন্টশিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার, পাথর ও সাধারণ পণ্য রয়েছে। কনটেইনার জাহাজগুলো ছোট আকারের হলেও ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের জাহাজগুলো বড় আকারের। একেকটিতে ৫০ থেকে ৬৫ হাজার টন পণ্যবাহী; অর্থাৎ সুপরাম্যাক্স ও আলট্রাম্যাক্স ধরনের জাহাজ রয়েছে সেখানে।  

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবিলায় উপকূলের কাছে থাকা বন্দরগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৯৯১ সালে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার এক বছর পর বন্দর একটি নীতিমালা তৈরি করে। এখন সেই নীতিমালার আলোকে পদক্ষেপ নিয়ে আসছে বন্দর। তাতে ক্ষয়ক্ষতিও তুলনামূলক কম হয়েছে।  

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, মূলত দুর্যোগ মোকাবিলায় কখন কী করতে হবে, তা ঠিক করতে বন্দরের নিজস্ব প্রস্তুতির জন্য এই সতর্কতা জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।

afroza/sat