বিউটি সমাদ্দার: আগুন রাঙা সাজে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহের মাঝেও মৌসুমী ফুলে ফুলে শোভিত রাজধানী। যান্ত্রিক জীবনের মাঝে এসব বাহারী বর্ণের নজরকাঁড়া ফুলের শোভা, কিছুটা হলেও সিগ্ধতার পরশ বুলিয়ে দেয় জীবনে।
ফুলের রূপ মাধুর্যে বিমোহিত হয় না এমন মন পাওয়া দায়. হোক তা পরিচিত কোন ফুল অথবা পথের ধারে ফুটে থাকা নাম না জানা কোন বুনো ফুল। সবই অনন্য, প্রকৃতির অনবদ্য উপহার।
বসন্ত ফুলের সম্ভারে সাজানো ঋতু হলেও গ্রীষ্মকালও কম যায় না প্রকৃতিকে সাজিয়ে তোলায়। এই গ্রীষ্মেও প্রকৃতিতে বসে ফুলের জলসা। বড় বড় বৃক্ষরাজি শোভিত হয়ে উঠে বহু বর্ণের ফুলের নান্দনিক শোভায়। লাল, হলুদ, নীল, বেগুনী, আর সাদার শুভ্রতায় মোহনীয় হয়ে উঠে চারপাশ।
প্রকৃতির এমন নান্দনিকতায় মাধুকরী ফুলে ফুলে দোল খায়। পরম মমতায় ফুলের রেণু গায়ে মেখে ফেরি করে চলে।
গ্রীষ্মের এই সময়ে রাজধানী সেজে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু কনকঁচূড়া ও বাহারী সব ফুলের বর্ণছটায়। জাতীয় সংসদের সামনের সড়ক, হাতিরঝিল, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ বিভিন্ন সড়কের পাশে বিক্ষিপ্তভাবে ফুটে থাকা এসব ফুলের মোহনীয়তা নজর কাড়ে পথিকের।
সময়টা হয়তো বৈরি। গ্রীষ্মের প্রচন্ড দাবদাহে যখন পুড়ছে জনজীবন তখন এর বিপরীতে প্রকৃতির অনবদ্য উপহার এসব ফুল যেন নীরবে সম্ভাষণ জানায়। ঝরে পড়া ফুলের পাপড়ির বিছানায় দুদন্ড জিরিয়ে নেয়ার আহ্বান যেন উপেক্ষা করা যায় না।
তাই তো গ্রীষ্মের খরতাপের মাঝেও রাজধানীবাসী ঘরের বাইরে বেড়িয়ে আসে এসব ফুলের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নিতে।
BRS/sat