স্বপ্নের তিস্তা সেতু দৃশ্যমান

প্রকাশিত: ০২-০৪-২০২৩ ০৮:৫৮

আপডেট: ০২-০৪-২০২৩ ০৯:১৭

গাইবান্ধা সংবাদদাতা: গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম বাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তিস্তা সেতু এখন রূপ পেতে শুরু করেছে। হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত সেতুটির অবকাঠামো দৃশ্যমান হচ্ছে। এ পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১৭টি স্প্যান। সেতুর কাজ শেষ হলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নদীভাঙন থেকেও রক্ষা পাবে তিস্তাপাড়ের মানুষ।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ অংশের হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে তিস্তা সেতু। নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেতুর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ১৪শ ৯০মিটার। সেতুটিতে বসানো হবে মোট ৩০টি স্প্যান। এরই মধ্যে ১৭টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে দিন রাত কাজ করছে কয়েকশ’ শ্রমিক।

সেতুর কাজ শেষ হলে কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরাঙ্গামারী, চিলমারী থেকে সড়কপথে ঢাকার সাথে যোগাযোগের দূরত্ব কমে আসবে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান।

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ছাবিউল ইসলাম জানালেন, তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে নদীভাঙ্গন অনেকটা কমে আসবে।

২০১৪ সালের ২৬শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭শ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগামী জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।

 

lamia/Bodiar