তানজিলা নিঝুম: পুঁজিবাজারের লেনদেন কোনোভাবেই স্বাভাবিক ধারায় ফিরছে না। আটকে আছে দুই থেকে তিনশ’ কোটি টাকার মধ্যে। নীতিনির্ধারকদের বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন শেয়ারের দামেই আটকে আছে ৮০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার। অর্থনীতিবিদদের মতে, ফ্লোর প্রাইসের কারণেই এমন গতি হারাচ্ছে পুঁজিবাজার। এজন্য দ্রুত এই সীমাবদ্ধতা তুলে দেয়ার পরামর্শ তাদের।
পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতন রোধে গত বছরের ২৮শে জুলাই শেয়ারের দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয় বিএসইসি। এতে ক্রেতা সংকটে পড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানি। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে।
ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে। তবে, দুইশ’ কোটি টাকার ঘরে নেমে যাওয়া ডিএসই’র লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৬৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে ২৮৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
ফ্লোর প্রাইস সাময়িক সমাধান হতে পারে, স্থায়ী কোন সমাধান নয়। পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক গতি ফেরাতে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
তবে মার্জিন ঋণের নিয়ম সংস্কার না করে ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন ডিএসই’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী। বর্তমান পরিস্থিতি পুঁজিবাজারে জন্য সুখবর নয় বলেও মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
Nijhum/shimul