আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা এবং গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের অভিযোগে রেড রোডে অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে, যা আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ও শেষ দিনে গড়িয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিনেও লাগাতার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থ মিলছে না, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করছে এই অভিযোগে বুধবার বেলা দশটা নাগাদ ধর্মঘটে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এই অবস্থান ধর্মঘট শেষ হবে। এনিয়ে তার ৩০ ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন হবে। অফিসও করছেন অবস্থান ধর্মঘটস্থল থেকে। এজন্য সেখানে মমতার জন্য আলাদা স্থান তৈরি করা হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বিধায়কেরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
তৃণমূলের ছাত্র-যুবরা একই কর্মসূচিতে কলকাতার শহীদ মিনার চত্বরে আলাদা সমাবেশ করেছেন। এতে বক্তৃতা করেন তৃণমূলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে মমতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুটপাটের অভিযোগ এনে বিজেপির নেতারাও বুধবার কলকাতার শ্যামবাজারর পাঁচ মাথার মোড়ে অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন। সেখানে থাকছেন বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ বিশ্বাস, সুকান্ত মজুমদার প্রমুখ।
আবার বাম দল ও কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধভাবে কলকাতার রামলীলা ময়দান থেকে পার্ক সার্কাস পর্যন্ত তৃণমূলের ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার দাবিতে মিছিল সমাবেশ করেছে। এতে বক্তৃতা করেছেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসুসহ কংগ্রেসের নেতারা।
একই সময় শহীদ মিনার চত্বরের পাশে ৬২ দিন ধরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশ বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আজ কার্যত কলকাতা মিছিল, বিক্ষোভ আর প্রতিবাদের নগরী হয়ে উঠেছে।
MNU/sharif