জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা

প্রকাশিত: ১৯-০৩-২০২৩ ০৪:৩৬

আপডেট: ১৯-০৩-২০২৩ ০৪:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: মুক্তিযুদ্ধ, চিকিৎসা ও সমাজসেবায় জীবনব্যাপী অবদানের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সমকাল-চ্যানেল টোয়েন্টিফোর গুণীজন সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়েছে। 

শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে টাইমস মিডিয়া ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিক, চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। তাঁরা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কীর্তি ও অবদানের কথা বলেন। 

৮২ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ চৌধুরী অশক্ত শরীরে সম্মাননা অনুষ্ঠানের মঞ্চে হুইলচেয়ারে বসে, তাঁর গুণমুগ্ধদের কথা শুনেছেন। কখনও মৃদু হেসেছেন। কখনও মাথা নেড়ে দ্বিমত করেছেন। অভ্যাগত সবাই বললেন, সাদামাটা জীবন কাটিয়েছেন ‘জাফর ভাই’। সম্মাননার জমকালো অনুষ্ঠানেও সাদামাটাই ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয়ভাজন ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। তাঁকে ডাকতেন ‘ডাক্তর’ বলে। মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পর দেশ গড়ার সংগ্রামে স্মৃতিকাতর হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড করতে চেয়েছিলেন। মুজিব ভাইয়ের এ স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। মুজিব ভাইয়ের স্বপ্ন পূরণ হলে এত মানুষ আত্মহত্যা করত না। কিশোররা খুনখারাবিতে জড়াত না। সবাই খেতে পারত। চাকরি না থাকলে ভাতা পেত।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান এ. কে. আজাদ। সম্মাননা পদক তুলে দেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সম্মান জানাতে পেরে সবাই সম্মানিত হয়েছি। ডা. জাফরুল্লাহ চাইলে এ দেশের শীর্ষ ধনী হতে পারতেন। তিনি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। কিন্তু নিজে মালিক হননি। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা সামাজিক, ব্যক্তিগত নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে সমাজ বদলের বিপ্লব। সেই বিপ্লবের সৈনিক ডা. জাফরুল্লাহ। সম্পদ থাকলে দাতা হওয়া যায়। কিন্তু সমাজ বদলে নিজেকেই দান করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। যা আর কেউ পারে না।

 

MNU/prabir