আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তোশাখানা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে বের হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান। এর পরপরই লাহোরে তাঁর বাসভবন জামান পার্কে অভিযান চালিয়েছে দেশটির পুলিশ বাহিনী।
জিও নিউজের খবর থেকে জানা যায়, এ অভিযানে ইমরানের বাসভবন থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও বুলেট উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ইমরানের দলের ৬০ জনের বেশি কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে বাড়িতে পুলিশের অভিযানের কথা শুনে ইমরান টুইট করে বলেন, ‘পাঞ্জাব পুলিশ আমার বাড়ি জামান পার্কে হামলা চালিয়েছে, সেখানে আমার স্ত্রী বুশরা বেগম একা। কোন আইনে তারা এমনটা করছে?
ইমরানের দল পিটিআইয়ের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ভেতরে পুলিশ দলের কর্মীদের পেটাচ্ছে। জামান পার্কের বাড়ির সামনের ফটকের পাশের দেয়াল এক্সকাভেটর দিয়ে ভাঙা হচ্ছে। এরপর ফটক দিয়ে পুলিশের সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করেন।
গত বুধবার ইমরানকে গ্রেপ্তারের জন্য লাহোরের জামান পার্কে তাঁর বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ। পরে ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ সমর্থকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সমর্থকেরাও ইটপাটকেল ছোড়েন।
গতকাল পুলিশ ইমরানের বাড়িতে অভিযানের আগে ঘোষণা দেয়, ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। জমায়েত নিষিদ্ধ। পাঞ্জাবের আইজিপি উসমান আনোয়ার গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, পুলিশ জামান পার্ক এলাকায় অনুসন্ধান ও উচ্ছেদ অভিযান সম্পন্ন করেছে।
এ অভিযানে প্রচুর গুলি ও একে-৪৭ রাইফেল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ককটেল তৈরিতে ব্যবহৃত কাচের বোতল ও পুলিশের ওপর আক্রমণে ব্যবহৃত মার্বেল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তিনি আরও বলেন, ইমরানের বাড়ি থেকে পাঁচটি কালাশনিকভ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর বৈধতা যাচাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ইমরানের বাড়িতে অভিযান চালাতে বাধা দেওয়ার জন্য কনটেইনার বসানো হয়েছিল। এগুলো এখন পরিষ্কার করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ জলকামান, দাঙ্গা পুলিশ, প্রিজন ভ্যান ব্যবহার করেছে। ৬০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অজ্ঞাত স্থানে নেওয়া হয়েছে। এ সময় ইমরানের বাড়ির বাইরে বানানো বিভিন্ন অস্থায়ী শিবির উচ্ছেদ করা হয়েছে।
Mustafiz/shimul