নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় জামিন পাননি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের দণ্ডিত স্ত্রী চুমকি কারন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আজ (সোমবার) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন চুমকি। তবে বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে ২১ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব শফিক।
২০২০ সালের ২৩শে আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্তের পর টাকার অংকে কিছু পরিবর্তন আনা হয়।
গত বছরের ২৭শে জুলাই এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত করা ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ২০ বছর ও তার স্ত্রী চুমকি কারনকে ২১ বছর কারাদণ্ড চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ।
মামলার শুরু থেকে চুমকি কারন পলাতক থাকলেও গত বছরের ২৩শে মে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেই থেকে কারাবন্দি চুমকি কারন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১শে জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এই হত্যা মামলায় গত বছরের ৩১শে জানুয়ারি প্রদীপসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
rocky/sharif