এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৫.৯৫

প্রকাশিত: ০৮-০২-২০২৩ ১৩:৫১

আপডেট: ০৮-০২-২০২৩ ১৭:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ৯টি সাধারণ বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের গড় হার ৮৫ দশমিক নয় পাঁচ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী। রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে ফলের বিস্তারিত জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে পাসের হার ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই কমেছে। বেড়েছে কেউ পাস না করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। 

বন্যাসহ বিভিন্ন কারণে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বছরের শুরুতে না হয়ে নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হলো। 

বুধবার দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সব বোর্ডের প্রধানদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফলের অনুলিপি গ্রহণ করেন। পরে এইচএসসি ও সমমানের সকল বোর্ডের ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

২০২২ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭ জন। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় এ বছর গড় পাসের হার ৮৫ দশমিক নয় পাঁচ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন শিক্ষার্থী।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৪ দশমিক তিন এক শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮০ দশমিক ৫০ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ, কুমিল­ায় ৯০ দশমিক ৭২ শতাংশ, যশোরে ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বরিশালে ৮৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সিলেটে ৮১ দশমিক ৪০ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৯ দশমিক ০৮ এবং ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ। 

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ৯০ হাজার ২৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৩ হাজার ৫৫৩ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ পাঁচ পেয়েছে ৯ হাজার ৪২৩ জন। 

আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। জিপিএ পাঁচ পেয়েছে ৭ হাজার ১০৪ জন।  

২০২১ সালে ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেন। সে তুলনায় ২০২২ সালে পরীক্ষার্থী কমেছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৪ জন। কমেছে শতভাগ পাশ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। গত বছরের তুলনায় কমেছে ৬শ’টি। আগেরবার ৫টি প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি। এবারে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫০। 

 

KNR/Bodiar