ডেস্ক প্রতিবেদন: অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ময়নাদ্বীপ এবং কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন নরসুন্দা মুক্তমঞ্চ এলাকা। কিচির-মিচির শব্দ, আর ঝাঁক বেঁধে উড়ে চলার দৃশ্য মন জুড়ায়। যা দেখতে ভিড় করেন পাখিপ্রেমীরা। পাখিদের এই বিচরণ নিরাপদ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ময়নাদ্বীপ। শীতের শুরু থেকেই সেখানে জড়ো হয়েছে শত শত অতিথি পাখি। তাদের কলকাকলিতে মুখরিত থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কিচির-মিচির শব্দে ঘুম ভাঙে হলের শিক্ষার্থীদের।
দিনভর জলকেলি, কখনও বা নীল আকাশে ঝাঁক বেঁধে নান্দনিক কসরতে ডানা মেলে পাখিরা। গোটা ক্যাম্পাসের আকাশে মনের সুখে উড়ে বেড়ায়। নানা রঙের হরেক প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ দৃশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মনে যেমন প্রশান্তি আনে, তেমনি ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
এরইমধ্যে ময়নাদ্বীপকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
এদিকে, মৌসুমের এই সময়ে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ সংলগ্ন নরসুন্দা মুক্তমঞ্চ এলাকায় দেখা যায় অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ। নরসুন্দা নদীতে ভেসে বেড়ায় হাজার হাজার অতিথি পাখি। যা দেখতে ভীড় করেন নানা বয়সী মানুষ। পাখিদের নিরাপদে বিচরণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানালেন স্থানীয়রা।
পাখিদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে জন সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো ও নরসুন্দা মুক্তমঞ্চ এলাকা পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার আশ্বাস দিলেন কিশোরগঞ্জের মেয়র মাহমুদ পারভেজ।
Nishat/Bodiar