তানজিলা নিঝুম: বর্তমানে মাত্র ৪শ’ থেকে ৮শ’ কোটি টাকার মধ্যে ওঠা-নামা করছে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন। নেই বড় কোন বিনিয়োগ। স্বল্পমেয়াদী ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও বসে আছেন হাত গুটিয়ে। তারওপর মার্জিন ঋণের সুদের চাপে কোণঠাসা তাঁরা। তাই মার্জিন ঋণের সুদের হার ৪০ শতাংশ থেকে কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
গত সপ্তাহের পুঁজিবাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে, ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে। আর ১০৭ কোটি টাকা বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৮০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৫টি কোম্পানির শেয়ার। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টি কোম্পানির, কমেছে ৯১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৫টি কোম্পানির শেয়ার। এর আগের সপ্তাহেও সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে সাড়ে ৭ শ’ কোটির মতো।
পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেশি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ। তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ঋণের সুদের হার একটি বাড়তি চাপ।
বাজারে শেয়ারের দাম ওঠানামা করা স্বাভাবিক চিত্র। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ভিন্নচিত্র। তাই পুঁজিবাজারে গতি ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসিএবং ডিএসইকে আরো মনোযোগী হবার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
কার্যদিবস লেনদেন (টাকা) সূচক (পয়েন্ট)
রবিবার ৪৮৯ কোটি ১৭ লাখ ৬২৮৮ লাল
সোমবার ৫০৯ কোটি ৪৮ লাখ ৬২৭৮ লাল
মঙ্গলবার ৫৭৩ কোটি ৯ লাখ ৬২৬৭ লাল
বুধবার ৫৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৬২৭৭ সবুজ
বৃহস্পতিবার ৬৮৭ কোটি ১২ লাখ ৬২৯৪ সবুজ
সূত্র: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ
Nijhum/sharif