কক্সবাজার সংবাদদাতা: দেশে চাহিদার সিংহভাগ লবণ উৎপাদিত হয় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। চলতি মৌসুমে শতভাগ জমিতে পলিথিন পদ্ধতিতে লবণের চাষ করা হচ্ছে। এতে লবণের উৎপাদন বেড়েছে। প্রান্তিক চাষীরা লবণের ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি। তবে মজুরি না বাড়ায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বিস্তীর্ণ সমুদ্রপাড়ে শ্রমিকরা ব্যস্ত সাদা সোনা খ্যাত লবণ উৎপাদনে। ১৫ই নভেম্বর থেকে ১৫ই মে এই ৫ মাস লবণ চাষের মৌসুম বলা হয়। সমুদ্রপাড়ে সমতল ভূমির চারপাশে মাটির ছোট আইল বেঁধে প্লট আকারে জায়গা বানানো হয়েছে। সেগুলো রোদে শুকিয়ে পলিথিন বিছিয়ে দেওয়া হয়।লোনা পানি শুকিয়ে পলিথিনে পড়ে থাকছে লবণ। সেই লবণ ট্রাক কিংবা ট্রলারে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। গত কয়েকবছর ধরে পলিথিন পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদন বেড়েছে।
দেশে এবার ২৬ লাখ ৬১ হাজার টন লবণের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা পূরণে লবণ চাষের জায়গা ও উৎপাদন দুটোই বেড়েছে। লবণশিল্পের স্বার্থ রক্ষায় আমদানি বন্ধ ও লবণ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছেন প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
এবছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন। দুই জেলায় এবছর ৬৬ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ করা হচ্ছে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৪০ হাজার প্রান্তিক চাষি, ১ লাখ শ্রমিকসহ ১০ লাখ মানুষ লবণ উৎপাদন, পরিবহন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
afroza/sharif