আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনে ক্রমাগত কমে যাওয়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশটির সিচুয়ান প্রদেশে সন্তান নেয়ায় থাকছে না কোনো বিধি-নিষেধ। প্রদেশটির নীতিমালার পরিবর্তন অনুসারে, এখন থেকে দম্পতিরা যত ইচ্ছা তত সন্তান নিতে পারবেন। এমনকি অনেক সন্তান নিতে পারবেন অবিবাহিত সঙ্গীরাও। এর আগে একা নারীর সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক দশক ধরে চীনে এক সন্তান নীতি বহাল ছিল। ৬০ বছরের মধ্যে দেশটিতে গত বছর জনসংখ্যা সর্বনিম্ন ছিল। জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান হ্রাস বাড়তে থাকায় ২০২১ সালে দম্পতিদের জন্য জাতীয়ভাবে তিন সন্তান নীতি চালু করা হয়। এতেও আশানুরূপ ফল না আসায় এবার ইচ্ছেমতন সন্তান নেয়ার অনুমতি দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
১৯৭৯ সালে দেশটিতে বিতর্কিত এক সন্তান নীতি প্রবর্তন করা হয়। সে সময় যেসব পরিবার এই নিয়ম ভেঙেছে, তাদের জরিমানা গুণতে হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে চাকরিও হারিয়েছেন অনেকে। এ ধরনের নীতি থাকার কারণে অনেক নারী গর্ভপাত করতে বাধ্য হতো। পরে ২০১৬ সালে এই নীতি বাতিল করে চীন।
তবে ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতিতে বদল আনলেও চীনে জন্মহার কমে যাওয়া বন্ধ হয়নি। গত বছর প্রথমবারের মতো চীনে মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন সিচুয়ান প্রদেশে চীনা পরিবারে সন্তান নিতে কোনো সীমা থাকবে না। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই প্রদেশের বর্তমান জনসংখ্যা আট কোটি।
জন্মহার বাড়ানোকে গুরুত্ব দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। জনসংখ্যার নিম্নহারকে ধীর অথবা স্থগিত করতে কর বিরতি ও মাতৃস্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকার।
এদিকে, জাপানসহ এর প্র্রতিবেশী দেশগুলোও জন্মহার কমে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এসব কারণে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারছে না তাঁর দেশ।
aleya/shimul