রাজশাহী সংবাদদাতা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেছেন, সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির গায়ে এখন জ্বালা ধরেছে। তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব পালিয়ে আছেন আপনারা, তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না বলে পালিয়েছে লন্ডনে। কিন্তু আমরা (আওয়ামী লীগ) পালাতে জানে না। এদেশে জন্ম আমার এদেশেই মরি। প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব। আজ (রোববার) বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ এই রাজশাহীর মহাসমাবেশে আপনাদের কী মনে আছে। কিছু দিন আগে বিএনপি একটি সমাবেশ করেছে। সেই সমাবেশ আর আজকের সমাবেশ! রাজশাহীবাসী ও সারা দেশ আজ দেখছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির এখন চলছে পদযাত্রা। পদযাত্রা মানে শেষযাত্রা, অন্তিম যাত্রা ও মরণযাত্রা। মরণযাত্রার কথা শুনেছেন না? মরণযাত্রা এখন হলো বিএনপির। তারা এখন সরকারকে পালাতে বলে। সরকার পালাবার পথ নাকি খুঁজে পাবে না।
মন্ত্রী জানান, সামনে আসতেছে বঙ্গবন্ধু টানেল। পদ্মা সেতুর জ্বালা, মেট্রোরেলের জ্বালাও আছে। যেদিকে তাকাই সেদিকে উন্নয়ন। রাজশাহী শহর গ্রিন সিটিতে পরিণত হয়েছে। এই রাজশাহী এখন বাংলাদেশের পরিচ্ছন্ন সিটি। মেয়রকে আমি ধন্যবাদ দিবো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেয়র রাজশাহীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছেন।’
‘সামনে আরও জ্বালা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও একদিনে শতসেতু উদ্বোধনের জ্বালা। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। গ্রাম হয়েছে শহর, এটা আরেক জ্বালা। জ্বালায় মরে ফখরুল আর বিএনপি। খেলা হওয়ার আগেই তো বিএনপি পালাতে শুরু করেছে'।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপির এখনো শিক্ষা হয়নি। শিক্ষা পাবে, যখন আগামী নির্বাচনে আবার পরাজয়ের মুখ দেখবে। তাদের পরাজয় হবে। আজকে আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হন। একজন নারী সন্তান জন্ম দেয়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেখলেন, মা সন্তান জন্ম দেয়, কিন্তু সকল রেকর্ডে বাবার নাম থাকে। শেখ হাসিনা বলেছেন, বাবার সাথে মায়ের নাম লিখতে হবে। বৃত্তির টাকাও এখন মায়ের কাছে যায়, বাবারা পায় না। যে মায়ের মোবাইলফোন ক্রয়ের টাকা নেই। যে মায়ের মোবাইলফোন কেনার সামর্থ্য নেই, শেখ হাসিনা মোবাইলফোন কেনার সুযোগ করে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
Raz/sharif