নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। প্রথম দিকে শীত ও বিভিন্ন কারণে মেলা জমে না উঠলেও ১৪তম দিনে এসে জমে উঠেছে মেলা। আজ (শনিবার) ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন মেলায়। আর বেলা বাড়ার সাথে সাথে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলার স্টলে স্টলে চলছিল ক্রেতাদের সমাগম।
বিক্রি আগের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। প্রথম দিকে বেচাকেনা কম হলেও এখন ভালোই হচ্ছে বিক্রি। মেলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আয়োজকরা বলেন, সকালে লোক সমাগম কম থাকলেও বিকেল থেকে লোকসমাগম বাড়তে শুরু করে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। মেলার দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে খাবার দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
গত পহেলা জানুয়ারি থেকে ঢাকার পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) দ্বিতীয়বারের মতো মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আসর বসেছে। মেলার শুরু থেকে লোকসমাগম একেবারে ছিল না। তার ওপরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। তবে এখন পুরোদমে জমে উঠেছে মেলা।
মেলায় দেশি-বিদেশি ৩৩১ প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। ‘এরমধ্যে কয়েকটি প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ১০৬টি স্টল বেড়েছে। বিদেশি ১০ দেশের ১৭টি স্টল রয়েছে। এবার বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।’
মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন আয়োজকরা। খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট থাকবে। মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনও ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা আছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করছে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
FR/sharif