বিউটি সমাদ্দার: বিনোদনের অন্যতম অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে রাজধানীর মেট্রোরেল। প্রতিদিনই অসংখ্য যাত্রী পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ ভ্রমণ করছেন নতুন এই বাহনে। ব্যবস্থাপনা এবং ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের কিছুটা অনুযোগ থাকলেও মেট্রোরেলে চড়ার অভিজ্ঞতাকে অসাধারণ বলছেন যাত্রীরা। হাজারো গল্পের অসাধারণ এক প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে ঢাকার মেট্রোরেল। আবেগ, গর্ব, ভালোলাগা, ভালোবাসা- সব অনুভূতিই যুক্ত হয়েছে এই রেলযাত্রায়।
৬৮ বছর বয়সী নরসিংদীর সঞ্জু আহমেদ মেট্রোরেলে চড়ার জন্য এসেছেন ঢাকায়। পরিবারের বিভিন্ন প্রজন্মের আরো ২৪ জন সদস্যকে নিয়ে শনিবার উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১০ মিনিটের মেট্রোরেল ভ্রমণ তার জীবনে গর্বের গল্প হয়ে রইলো।
একই গল্প কুমিল্লার লাভলী আক্তারের। দুই সন্তান আর স্বামীকে নিয়ে শীতের সকালে ছ'টায় নিজের গাড়িতে রওনা দিয়ে আড়াই ঘন্টায় ঢাকা এসেছেন দশ মিনিটের মেট্রেরেলে ভ্রমণের জন্য। এই মা-ছেলের গল্পটা আবার ভিন্ন। প্রবাসী ভাইকে আনতে এয়াপোর্টে যাচ্ছেন তারা। রাস্তায় সময় বাঁচাতে এই পথ বেছে নিয়েছেন।
শনিবার চলতে চলতে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য মিনিট দুয়েক বন্ধ থাকে মেট্রোরেল। চলতি পথ হঠাৎ বন্ধে বিরক্তিও ছিলো কারো কারো। এমনই কতশত গল্পই না জমা হচ্ছে মেট্রেরেলের কামরায় কামরায়। উদ্বোধনের দশ দিনে রাজধানীতে যোগাযোগের নতুন এই বাহনটি প্রয়োজনের চেয়ে বিনোদনেরই বেশি অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছে।
ছুটির দিনে যাত্রীদের চাপ বেশি জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় এই সম্পদ ব্যবহারে যাত্রীদের সচেতন ও সহনীয় হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
BRS/sharif