কাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর ছিল ২০২০। তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীর দিন, ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ উদযাপন, যা চলছে এই স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরও। স্বাধীন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একাত্মা। তিনিই একাত্তরের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর ডাকেই মানুষ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের বিরল ঐতিহাসিক নেতৃত্বের সেই উত্তাল আন্দোলন ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো নিয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরজুড়ে বৈশাখী সংবাদের বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজন- যাঁর ডাকে বাংলাদেশ এর আজ ৩৭৮ তম প্রতিবেদন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা করা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল জাতিসংঘ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নেয়া ভারতের ত্রিপুরায় সেখানের রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১৯৭১ সালের ৮ই এপ্রিল বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য ৮টি আশ্রয় শিবির খোলা হয়। এ প্রসঙ্গে, জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগা শাহী জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্টের কাছে তারবার্তা পাঠান। বলেন, “ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। ভারত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রত্যক্ষ মদদ যোগাচ্ছে। ভারতীয় পার্লামেন্ট পূর্ববঙ্গের জন্য সর্বান্তকরণে সমর্থন জানিয়ে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান একটি ব্যাপক রাজনৈতিক সমঝোতায় আসার বার বার চেষ্টা করার পর আলোচনার শেষ পর্যায়ে তাঁর আর কোন সন্দেহ ছিল না যে কতিপয় ব্যক্তির দেশকে বস্তুতঃ বিচ্ছিন্ন করার উদ্দেশ্য রয়েছে।” (সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস)
একাত্তরের এদিন, কলকাতার ভবানীপুরে রাজেন্দ্র রোডের এক বাড়িতে আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দিন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে সরকার গঠনসহ দিলীতে ইন্দিরা-তাজউদ্দিন বৈঠক প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। ১০ই এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠনের জন্য দিন ধার্য করা হয় সেই বৈঠকে।
এদিন, ফরিদপুরের ডাক বাংলোয় মুক্তিবাহিনীর উদ্যোগে গঠন করা হয় প্রতিরোধ ব্যুরো, সেখানে দেশের সব অঞ্চলের সাথে যোগাযোগের উদ্দেশ্যে চালু করা হয় ২৪ঘন্টার কন্ট্রোলরুম।
একাত্তরের এদিন দেশজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ জোরদার হতে থাকে। এদিন, অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানী রাঙ্গামাটির বুড়িঘাট এলাকায় চিংড়ি খালের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানী সেনাদের ৭টি স্পীডবোট ও ২টি লঞ্চসহ দুই কোম্পানী সৈন্য ধ্বংস করে। এই যুদ্ধে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা ল্যান্স নায়েক আব্দুর রউফ বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হন। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরনোত্তর বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব প্রদান করে।
কুষ্টিয়ায় মুক্তিফৌজের সাথে পাকিস্তানী বাহিনীর ব্যাপক লড়াই হয়। মেজর আবু ওসমানের নেতৃত্বে মুক্তিফৌজ কুষ্টিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয়।
গোলাম মোর্শেদ: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতকাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ...
বিস্তারিতবিউটি সমাদ্দার: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতকাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ...
বিস্তারিতগোলাম মোর্শেদ: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতকাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ...
বিস্তারিতবিউটি সমাদ্দার: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন