নওগাঁ সংবাদদাতা: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী অনুষঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম লাঠি খেলা। আবহমান বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির ধারক এই খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। গ্রামীণ জনপদের এই বিনোদনকে টিকিয়ে রাখতে আজো দেশের আনাচে কানাচে আয়োজন করা হয় লাঠি খেলার। বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মারিয়া গ্রামে বসে তেমনই এক জমজমাট লাঠি খেলার আসর।
সময়ের সাথে সাথে বাংলার গ্রামীণ জনপদের অনেক ঐতিহ্যের মতোই হারিয়ে যেতে বসেছে লাঠি খেলা। বাদ্যযন্ত্রের সুরে একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টায় লাঠিয়ালদের তাল মিলিয়ে নাচের এই আয়োজন একসময় অহরহ চোখে পড়লেও, এখন দেখা মেলে অল্পই।
গতকাল বৃহস্পতিবার নওগাঁর আত্রাইয়ে আয়োজন করা হয় তেমনই এক লাঠি খেলার। উপজেলার মারিয়া গ্রামে রাতোয়াল, দিঘা ও বাগমারা নামে তিনটি দল অংশ নেয় এতে। বাহারি পোশাক পরে নেচে গেয়ে নানা ধরনের শারীরিক কসরত প্রদর্শন করেন খেলোয়াড়রা। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে প্রতিপক্ষকে কাবু করায় আনন্দ পান লাঠিয়াল। আর তা দেখে দর্শক উল্লাসে ফেঁটে পড়েন। খেলা উপলক্ষ্যে বসে গ্রামীণ মেলাও।
তবে বাদ্যের তালে তালে যারা নেচে-গেয়ে দর্শকের মনে আনন্দ যোগান, তাদের জীবন-জীবিকা আজ সংকটাপন্ন। বিলুপ্তপ্রায় এই খেলাটি কেবল বংশ পরম্পরায় ধরে রেখেছেন তারা।
লাঠি খেলার মতো বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিনোদনের মাধ্যমগুলো বেশি বেশি আয়োজন করা গেলে অপরাধ প্রবণতা কমার পাশাপাশি সামাজিক সম্পর্কগুলো আরো দৃঢ় হতো বলে মত আয়োজকদের।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল (নওগাঁ-৬ আসন) বললেন, গ্রামীণ খেলাগুলো আয়োজনে উৎসাহিত করতে সরকারি উদ্যোগের কথা।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যগুলোর সম্প্রসারণে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন