নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অংশগ্রহণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর। আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় মোদির ঢাকা সফরের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে নিশ্চিত করেন জয়শঙ্কর।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথোপকথনের সারাংশ তুলে ধরেন তিনি।
প্রেস সচিব জানান, স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এটা অনেক বড় অর্জন। বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে একটা বিস্ময়কর উন্নয়ন। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সমস্যা থাকে। আমরা মনে করি সেগুলো সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এরই মধ্যে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা প্রদান কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। করোনা মহামারির শুরুতেই সবাইকে সম্পৃক্ত করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাংলাদেশে এই ভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।
এসময় মহামারির মধ্যে দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রবাসীদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশের এগিয়ে যাচ্ছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি করোনা মহামারি মোকাবিলা করার পরও বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহও বেড়েছে।
করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে দেশে যেন খাদ্য সঙ্কট দেখা না দেয়, সেজন্য সরকার কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকার খাদ্য উৎপাদনে জোর দিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া টিকা সরবরাহসহ কোভিড-১৯ মহামারি সঙ্কটে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি ভারত সরকারকে ধন্যবাদ দেন।
সাক্ষাৎকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্ককর তার বাবা ভারতের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা কে. সুব্রামানিয়ামের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা বই ‘লিবারেশন ওয়ার অব বাংলাদেশ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
পরে রাজধানীর গুলশানে ভারত সরকারের অর্থায়ণে নির্মিত ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে আরও নিবিড়ভাবে পরিচিত হতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন