নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য, ওয়াসাসহ ১৪টি সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি-প্রবণ খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেয়া বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে তাদের দুর্নীতি বন্ধে বেশকিছু সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। তবে দুর্নীতি বন্ধে প্রতিবছর সুপারিশ করলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
প্রতিষ্ঠানিক দুর্নীতির কারণ চিহ্নিত ও তা বন্ধে সুপারিশ করে ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন রোববার রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে দুদক। এতে ১৪টি সরকারি সেবা প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি প্রবণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য, ওয়াসা, পরিবহন, রেলওয়ে, পরিবশে ও ভূমি রেজিষ্ট্রেশন খাত।
নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতি ও কেনাকাটায় অনিয়সমসহ সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের হাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জিম্মি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ড্রাগ লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম, ওষুধের অনুমোদনে দুর্নীতি, ওষুধ উৎপাদানের কাঁচামাল খোলা বাজারে বিক্রিসহ চিহ্নিত করা হয়েছে নানা অনিয়ম।
ওয়াসার সায়েদাবাদ, পদ্মা যশলদিয়া, ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি চিহ্নিত করেছে দুদক। এই দুর্নীতি বন্ধে অভিজ্ঞ প্রকৌশলী নিয়োগ, মনিটারিং টিম গঠন, ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে, ভূমি রেজিস্ট্রেশন, ইটভাটা, সরকারি পরিষেবায় মধ্যস্বত্বভোগী, কাস্টমস ও আয়কর খাতেও অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হয়। এই প্রতিবেদন নিয়ে সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
এছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাস মার্কস ৩৩ এর পরিবর্তে ৫০ করার সুপারিশ করেছে দুদক।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন