শাহনাজ ইয়াসমিন: বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশী দামে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও জিনিসপত্র কেনা হয়েছে। পালস অক্সিমিটার, রক্তের হিমোগ্লোবিন মাপার যন্ত্র, অ্যানেস্থেসিয়া ভেন্টিলেটর, ফ্যাকো মেশিনসহ প্রতিষ্ঠানের জিনিসপত্রে ক্রয়মুল্য দেখানো হয়েছে পাঁচ গুণ বেশী। কেনাকাটা শেষে তা অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠালে দামের এমন অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে।
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৯২৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৭তলা হাসপাতাল ভবনকে ১৫তলা পর্যন্ত বাড়ানো, কলেজের একাডেমিক ভবন ও শিক্ষার্থীদের জন্য ডরমেটরি নির্মাণের কথা। নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের সময় দুই বছর এবং ব্যয় বাড়িয়ে এক হাজার ৯৬ কোটি টাকা করে সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হয় পরিকল্পনা কমিশনে। সেখানেই ধরা পড়ে অস্বাভাবিক দামে কেনা হয়েছে যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি- পিইসিতে যন্ত্রপাতি কেনার যে দাম ধরা হয়েছিলো, তার থেকে ৫ গুন বেশী দামে কেনা হয়েছে সবকিছু। অক্সিজেনের মাত্রা মাপার যন্ত্র পালস অক্সিমিটার প্রতিটা কেনা হয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকায়। যেটির বাজারে দাম আছে ৭০০ টাকা থেকে এক লাখ টাকা। হিমোগ্লেবিন মেশিনের দাম ধরা ছিলো ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। কেনা হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায়। ফ্যাকো মেশিনের দাম ২০ লাখ টাকা ধরা ছিলো । কেনা হয়েছে ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকায়। অ্যানেস্থেসিয়া ভেন্টিলেটরের জন্য ধরা ছিলো ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। কেনা হয়েছে ৫৭ লাখ ২৯ হাজার টাকায়। একটি সেক্রেটারিয়েট টেবিলের জন্য দাম ধরা ছিলো ২০ হাজার টাকা। কেনা হয়েছে সোয়া লাখ টাকায়। সোফা সেটের জন্য বরাদ্দ ছিলো ২৬ হাজার টাকা, কেনা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার টাকায়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব জানান, কেনাকাটায় যেসব অনিয়ম হয়েছে তা পূর্নাঙ্গভাবে যাচাই বাছাই করতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সরিয়ে দেয়া হয়েছে প্রকল্প পরিচালককে। ভবিষ্যতে প্রকল্পের কেনাকাটায় সবাইকে সতর্ক হবার নির্দেশ স্বাস্থ্য সচিবের।
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির অভিযোগে...
বিস্তারিতনিজস্ব প্রতিবেদক: ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার...
বিস্তারিতনিজস্ব প্রতিবেদক: জাল স্বাক্ষরে...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন