কাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর ২০২০। তাঁর শততম জন্মবার্ষিকীর দিন, ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হয়েছে মুজিববর্ষ উদযাপন। স্বাধীন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একাত্মা। তিনিই একাত্তরের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তাঁর ডাকেই মানুষ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দ্বারে পৌঁছানোর আগের বছরটি কেমন কেটেছিল বঙ্গবন্ধুর। সেই উত্তাল আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক দিনগুলো নিয়ে মুজিববর্ষ জুড়ে বৈশাখী সংবাদের বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজন- যাঁর ডাকে বাংলাদেশ এর আজ ৩’শ পাঁচ তম প্রতিবেদন।
একাত্তরে দেশ স্বাধীনের আগে ঢাকায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি হয়ে উঠেছিল সমগ্র পূর্ব বাংলার মানুষের কেন্দ্রবিন্দু। সারাদিনই দেশের প্রত্যন্ত এলাকার দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ভীড় করতেন সেই বাড়িতে। সত্তরে পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনের আগে থেকেই বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া আসা শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। ১৯৭১ সালের ২৫শে জানুয়ারি নিজের বাসায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাক্ষাতকার দেন শেখ মুজিব।
বঙ্গবন্ধু মুজিব বলেন, “তথাকথিত রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির নামে বাংলার মানুষ ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারবর্জিত শ্বাসরুদ্ধকর একনায়কত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা চায় না। শত শহীদের রক্তে লেখা ৬-দফা ও ১১-দফার পক্ষে বাংলার আপামর মানুষ যে রায়দান করিয়াছে সেই রায়ই বাস্তবায়ন করা হইবে।” (সূত্রঃ ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭১; দৈনিক ইত্তেফাক)
বঙ্গবন্ধু মুজিব বলেন, “যতদিন বাংলার মাটি থাকিবে, বাংলার মানুষ থাকিবে, ততদিন শহীদরা অমর হইয়া থাকিবেন। শহীদরা চিরস্মরণীয়। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যাইতে পারে না, বৃথা যাইতে দিবো না। তাঁহাদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই গণরায় বানচালের যে কোন চক্রান্ত প্রতিহত করিয়া শহীদদের আত্মদানকে সার্থক করিয়া তোলা হইবে।” (সূত্রঃ ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭১; দৈনিক ইত্তেফাক)
কাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ...
বিস্তারিতকাজী বাপ্পা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ...
বিস্তারিতবিউটি সমাদ্দার: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতগোলাম মোর্শেদ: সব ভেদাভেদ ভুলে দেশের...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন