নিজস্ব প্রতিবেদক: মুজিববর্ষে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণা অনুযায়ি আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দেয়া হতে যাচ্ছে ঘর ও দলিল। আগামীকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে যা প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে গৃহহীন প্রতিটি পরিবার পাবেন ২ শতাংশ খাস জমির মালিকানা এবং দু’কক্ষ বিশিষ্ট ঘর। পর্যায়ক্রমে ঘর দেয়া হবে ৯ লাখ পরিবারকে। যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ কর্মসূচি।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙ্গন ও জলোচ্ছাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এদেশের অনেক মানুষ হয়ে পড়ছে ভূমিহীন। সেই সাথে রয়েছে দারিদ্র্যের মতো কারণও। তবে ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রায় ৯ লাখ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহ ও ভূমিহীন এসব পরিবারকে ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার।
রংপুরের আব্দুল জব্বার, জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন। সহায়-সম্বলহীন এই মানুষটির মুখে হাসি ফুটিয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই বাড়ি। তার মতো আরো অনেক ভূমিহীন-গৃহহীন ভাগ্য বিড়ম্বিতরা পেয়েছেন স্থায়ী ঠিকানা।
নানা অসহায়ত্বের গন্ডি পেরিয়ে, ঘর পাওয়া এসব মানুষ এখন নতুন জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জেলায় ঘর খুঁজে পাওয়া মানুষদের অনুভূতি অনেকটা একইরকম। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বয়সের আশ্রয়হীন মানুষের স্বপ্নের কাছে পরম নিরাপদ আশ্রয় এই ঘরগুলো।
প্রকল্প পরিচালক জানালেন, ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসন করতে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে উদ্যোগ নেয়া হয়। যার ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষের এই মানবিক উদ্যোগ।
আগামীকাল শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার উপকারভোগিদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বুঝিয়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী মাসের মধ্যেই বরাদ্দ করা হবে আরও ১ লাখ ঘর।
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ...
বিস্তারিতনিজস্ব সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী শেখ...
বিস্তারিতবিউটি সমাদ্দার: চিরকালীন অচলায়তন...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন