নিজস্ব প্রতিবেদক : জীবনের বিভিন্ন পর্যায় এবং প্রতিকূলতার মাঝে নারীর সংগ্রামী পথচলার গল্পগাঁথা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নারী জীবন’। শুধু নারী হয়ে জন্মগ্রহণের কারণে যে কঠোর বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয়, এই চলচ্চিত্রে তা তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট বিসিটিআই-এর একদল প্রশিক্ষণার্থীর চমৎকার অভিনয় নজর কেড়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এর জুরিবোর্ডের বিচারকদের।
‘নারীর জীবন’ ২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে পেয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আসাদ সরকারের গল্পে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন গাজী রাকায়েত। নারী জীবনের চরম বাস্তবতার চিত্রই ওঠে এসেছে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে।
নারীর জীবন মানেই এক জীবনের ভেতর তিন জীবনের বসবাস। কন্যা-জায়া-জননী। আর সেই জীবনে থাকে নানা টানাপোড়েন। এমনই একজন নদী পাড়ের এই নারী, নুরজাহান।
স্বামীকে হারিয়ে সন্তানকে আঁকড়ে ধরে শুরু করেন জীবন সংগ্রাম। সে সন্তান বড় হয়। সংকটের আবর্তে আর সম্ভাবনার পথ চেয়ে চলে জীবনযাপন।
একসময় মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। আবারো একা হয়ে পড়েন নুরজাহান। প্রৌড় বয়সে শুরু হয় বেঁচে থাকার নতুন লড়াই।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নারীর জীবন’ এর গল্প লিখেছেন আসাদ সরকার আর পরিচালনা করেছেন গাজী রাকায়েত। নতুনদের নিয়ে সেলুলয়েডে এমন একটি কাজ করতে পেরে তৃপ্ত পরিচালক।
চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-বিসিটিআই। যা ২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে পেয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এমন অর্জনে উচ্ছসিত এই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাই।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন