নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে পহেলা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হবে। আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পে অনেক কেনা-কাটা সময়ের আগেই করা হয়েছে, ফলে অনেক জিনিসই নষ্ট হতে পারে। যাতে সরকারি অর্থের অপচয় হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারাদেশের ১৪৪ জন জোনাল কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ কার্যক্রম ৪টি পর্যায়ে সম্পন্ন হবে, জোনাল অপারেশন পরিচালনা, শুমারির তথ্য সংগ্রহ, পিইসি জরিপ পরিচালনা ও আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক জরিপ পরিচালনা। জোনাল অপারেশন প্রথম পর্যায়ে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সঠিক তথ্যের কোনো বিকল্প নেই। টিম ওয়ার্ক করতে হবে। প্রচার প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালাতে হবে। আগে মানুষ বলতো বিশ্বব্যাংক কি বলে। এখন মানুষ বলে বিবিএস কি বলে। এ আগ্রহটা তৈরি হয়েছে। এটা ধরে রাখতে হবে।
মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, চলতি মাসেই মূল শুমারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ডিভাইস ব্যবহার করে ধৈর্য্য সহকারে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। সঠিক পরিসংখ্যান ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটায়।
প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন বলেন, জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ মোট ৪টি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো পর্যায়-১, এর আওতায় শুমারির ব্লক এলাকা প্রণয়ন, জিআইএস পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের সব এলাকা ম্যাপ ও জিও কোডের আওতায় স্বতন্ত্র সনাক্তকরণ মাধ্যমে চিহিৃত করা হবে। পর্যায় ২-এর আওতায় শুমারি পরিচালনা দেশের সব খানা, ব্যক্তি এবং আবাসন ইউনিট গণনা করা হবে। পর্যায়-৩ এর আওতায় শুমারি পরবর্তী জরিপ পরিচালনা শুমারির গূণগতমান পরিমাপ করা হবে।
সরকারি অর্থ ব্যয়ে কর্মকর্তাদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পণ্যের দাম যেন অতিরিক্ত না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে কর্মকর্তাদের।
নিজস্ব প্রতিবেদক : কারাগারে মুশতাক...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন