বাগেরহাট সংবাদদাতা: ভালো নেই সুন্দরবনের দুবলার চরের শুঁটকি পল্লীর জেলেরা। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় এখানে কাজ করতে আসা জেলেরা যাপন করেন মানবেতর জীবন। সুপেয় পানি, ভালো খাবার কিংবা চিকিৎসার যেমন ব্যবস্থা নেই তেমনি নৌকা ও জালের মালিক এবং দালালদের কারণে পান না ন্যায্য মজুরিও। জেলেদের এমন দূরবস্থার খবর জানে না বন বিভাগও।
১৫ টি মৎস্য আহরণ এবং প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র নিয়ে গড়ে উঠেছে সুন্দরবনের দুবলা জেলে পল্লী। প্রতিবছর শীত মৌসুমে ৫ মাস এখানে অস্থায়ীভাবে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। নৌকা, জাল ও দুবলার চরে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ঘরগুলোর মালিকদের সাথে নির্দিষ্ট মজুরির চুক্তিতে ৫ মাসের জন্য এখানে আসেন বিভিন্ন জেলার জেলেরা। একাজে আবার রয়েছে মধ্যস্বত্বভোগী দালালও। শেষ পর্যন্ত প্রকৃতির সাথে লড়াই করে মাছ ধরা জেলেদের ভাগ্যে জোটে নামমাত্র কিছু টাকা।
এখানকার জেলেরা স্বাধীনভাবে যেমন মাছ ধরতে পারেন না, তেমনি পর্যটক বা অন্য কারো কাছে বিক্রিও করতে পারেন না। সুপেয় পানির অভাব তো রয়েছেই, সেই সাথে ভালো খাবার থেকেও বঞ্চিত তারা। নেই চিকিৎসার সুব্যবস্থাও। সাপের কামড়, ডায়রিয়া কিংবা অন্যকোন রোগে অসুস্থ হলে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পথ পাড়ি দিয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথেই অনেকে মারা যায়। এমন পরিস্থিতে জেলেদের দাবি, দুবলার চরের শুঁটকি পলী বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার। এতে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমনি জেলেদের দুঃখও ঘুচবে।
জেলেদের এমন দূরাবস্থার কথা জানে না বন বিভাগও। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, জেলেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সহযোগিতাও করা হবে।
গত এক দশকে দুবলার চরে উৎপাদিত হয়েছে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন শুঁটকি। যেখান থেকে বন বিভাগ রাজস্ব পেয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: কারাগারের ভেতর...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন