কাজী ফরিদ: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের থাকার কথা গাজীপুরে ক্যাম্পাস এলাকায়। নিয়োগপত্রেও তাই বলা আছে। কিন্তু তিনি থাকেন ঢাকার ধানমন্ডিতে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় কেনা বাসভবনে। এই বাড়ি কেনা এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট করতে অন্তত ৮ কোটি টাকার অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
২০১৩ সালের মার্চ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর হারুন-অর-রশীদ। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ফেব্র“য়ারিতে পুনরায় নিয়োগ পান তিনি। উপাচার্যের সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকার কথা থাকলেও তার জন্য ধানমন্ডিতে বাড়ি কেনা হয়েছে।
৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকায় এই বাড়ি কেনায় নিরীক্ষা অফিস আপত্তি জানিয়ে ক্রয়ের সাথে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলো।
বাসভবনের পাশেই ৪২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ইন্সটিটিউট নির্মান করা হয়েছে। এটি নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল নিরীক্ষা অফিস।
ধানমন্ডিতে বাড়ি কিনলেও আবার গাজীপুরে মূল ক্যাম্পাসে নির্মিতব্য সিনেট ভবনে উপাচার্যের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে উপাচার্য ক্যাম্পাসেই থাকেন বলে দাবী করেছেন।
ধানমন্ডির বাড়ি কেনায় অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জমি বিক্রেতা তাঁর বিক্রয় প্রস্তাবে ভ্যাট ও উৎসকর নিজে পরিশোধের কথা বললেও বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। ১০ দশমিক সাত ছয় কাঠা জমি ক্রয়ের মূল্যে প্রথমে ভবনের আলাদা দাম না ধরলেও পরবর্তীতে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মূল্য ধরে রেজিস্ট্রি করা হয়। বিবিধ খরচ দেখিয়ে এই জমি ক্রয়ে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এই জমির নামজারি করতে খরচ হবার কথা হাজার টাকা কিন্তু খরচ করা হয়েছে ২৪ লাখ টাকা। নিরীক্ষা অফিসের আপত্তি ছিলো এসব ব্যয় নিয়ে।
এছাড়া ২০ কাঠা জমি দুইবারে কেনা হয়। তবে একই এপ্রোচ রোড দুইবার ক্রয় দেখানো হয়।
তাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন