আশিক মাহমুদ: রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার অলিতে-গলিতে গড়ে উঠছে শিশু-কিশোর গ্যাং। দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা। ছোটখাটো বিরোধকে কেন্দ্র করে হচ্ছে খুনোখুনিও। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়া আর মাদকের কারণে এমন অবস্থা। যা এখুনি বন্ধ করা জরুরি।
পাড়ার বড় ভাইদের ছোটরা সম্মান করে না, এমন অভিযোগ থেকেই দ্বন্দ্বের শুরু। আর এর জের ধরে শেষ পর্যন্ত হত্যার ঘটনাও ঘটলো। রাজধানীর সবুজবাগে একদল কিশোরের ছুরিকাঘাতে খুন হয় জব্বর নামে আরেক কিশোর। গত ৭ই সেপ্টেম্বর এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
খুনের এই ঘটনার পুরো চিত্র ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। সেই ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বৈশাখী টেলিভিশন। সেখানে দেখা গেছে, কয়েকজন কিশোর জব্বরের শার্টের কলার ধরে টানাটানি করছে। হাতাহাতিও হচ্ছে। একপর্যায়ে পকেট থেকে ছুরি বের করে একজন জব্বরকে এলোপাতারি আঘাত করে।
পরে আহত জব্বরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক কিশোর জানায়, জব্বরকে মারার জন্য আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলো ইমন, ইয়াসিনসহ কয়েকজন। যারা এই হত্যা মামলার আসামী।
সন্তানের এমন নির্মম মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না জব্বরের মা। দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানালেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মোবাইল ফোনে জানালেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
এদিকে, ১৯ নভেম্বর রাতে দুই গ্র“পের মারামারি থামানোর কারণে সোহাগ নামের এক দোকানদারকে ছুরিকাঘাত করেছে কয়েকজন কিশোর। আহত সোহাগ রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
স্কুলগামী শিশু-কিশোরদের এমন আচরণে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। তারা বলছেন, এসব থামাতে হলে নেপথ্যের কারণগুলো বন্ধ করতে হবে।
অপরাধের জগত থেকে এসব শিশু-কিশোরদের ফেরাতে না পারলে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য দুঃখজনক পরিণতি অপেক্ষা করছে বলেও মনে করেন তারা।
শাহনাজ ইয়াসমিন: প্রকল্পের মেয়াদ ছিলো...
বিস্তারিততাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন