ক্রীড়া ডেস্ক: ফুটবলে ম্যারাডোনা অধ্যায়ের অবসান ঘটেছে। ফুটবলের রাজাখ্যাত ব্রাজিলের পেলের পর,আর্জেন্টাইন দিয়াগো ম্যারাডোনা চিরকালীন কিংবদন্তীর আসন পেয়েছেন। আর্জেন্টিনায় বুধবার দিনের মধ্যভাগে নিজের বাসায় হৃদরোগে মৃত্যু হয় চার দশক ধরে বিশ্বে আলোচিত এই ফুটবলারের। পথ থেকে ফুটবলের প্রাসাদে যাওয়া ম্যারাডোনা ফুটবলকে যেমন করেছেন মহিমান্বিত, তেমনি তাঁর মাদকাসক্তি ছিলো বড় বেদনার জায়গা।
নিজের পায়ের জাদুতে মাতিয়েছেন বিশ্বের শত কোটি মানুষকে। কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে ছিলেন হাসপাতালে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার দুই সপ্তাহের মাথায় চির নিদ্রায় গেলেন ৬০ বছরের ম্যারাডোনা।
মাঠে না থাকলেও, গত চার দশক ফুটবল ছিলো ম্যারাডোনাময়। আশির দশকে যোগ দেন আর্জেন্টিনার, জেতেন বিশ্বকাপ। সেই বিজয়ের আসরে নিজের হাতে করা একটি গোল তাকে বিতর্কে ঠেলে। ম্যারাডোনা ঈশ্বরের হাত বলে বির্তক আরো উসকে দেন। এসবকিছু ছাপিয়ে ম্যারাডোনা হয়ে ওঠেন বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কিংবদন্তী ফুটবলারদের একজন।
বর্ণাঢ্য জীবনের ম্যারাডোনার শৈশব ছিলো দারিদ্র আর সংগ্রামের। শৈশবে রাস্তায় ফুটবল খেলে ফুটবলার হবার নেশায় মেতে ওঠেন। তারপর অসামান্য প্রতিভায় নিজের ফুটবল নৈপুণ্যের প্রতি নেশাগ্রস্ত করেন বিশ্ববাসীকে। ম্যারাডোনার নেশা ফুটবল মাঠের আঙিনা ছাড়িয়ে মাদকের জগতে চলে গেলে, তাঁর মাঠের খেলায় মৃত্যু ডেকে আনে।
৯০’র দশকের মাঝামাঝি মাদকের নেশায় ডুবে যান কিংবদন্তী এই ফুটবলার। ৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে মাদকাসক্তির কারণে দুই ম্যাচ পর ছিটকে পড়েন আসর থেকে। ফুটবলার হিসেবে তার বিদায় ঘন্টা বাজে। তারপর এই মাদকই তাকে আলোচনা, সমালোচনায় বারবার তুলে আনে। তারপর তিনি মাঠে ফিরে আসেন আর্জেন্টিনার কোচ হয়ে ২০১০ সালে। কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনার জন্য বিশ্বকাপ জিতবার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ নিলেও, সেই স্বপ্ন কোয়ার্টার ফাইনালের ধাপ পেরুতে পারেনি। সেই যে মাঠ ছাড়লেন ম্যারাডোনা তারপর বিগত এক দশকে আলোচনায় থাকলেও ফুটবলের কোন বড় দায়িত্বে ছিলেন না। কিন্তু ফুটবলের অমলিন একজন মুকুট হয়ে থাকবেন চিরকাল।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন