নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্যান্সারের কাছে হার মেনে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়। বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার পাওয়া এই ক্রীড়া সংগঠকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ক্রীড়াঙ্গনে। বাদল রায়ের মৃতুূতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা ফুটবলার ও কৃতি ক্রীড়া সংগঠক বাদল রায়। ২০১৭ সালে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হলে বাদল রায়ের জীবন সংকটাপন্ন হয়েছিলো। সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে সুস্থই ছিলেন অনেক দিন।
গত ১৩ আগস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বাদল রায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাদল রায় বাসাতেই চিকিৎসা নেন। এরপর গত অক্টোবরে বাফুফে’র সর্বশেষ নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন বাদল রায়। গত ৫ নভেম্বর কিডনিসহ নানা রোগে আবারো গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ নভেম্বর সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানেই তার লিভারে ক্যান্সার ধরা পড়ে। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর আরেকটি হাসপাতালে নেয়া হয়। রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় সবাইকে শোকে ভাসিয়ে ৬০ বছর বয়সে মারা যান এই কৃতি ফুটবলার।
কুমিল্লায় জন্ম নেয়া বাদল রায় ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। আশির দশকে জাতীয় দলে খেলেছেন ৬ থেকে ৭ বছর। ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়েও খেলেছেন বেশ সুনামের সাথে। তার অধিনায়কত্বে মোহামেডান হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতে। ১২ বছর সাদা কালো জার্সির দলটিতে খেলে তিনি ফুটবল থেকে অবসরে যান। এরপর মোহামেডানের ম্যানেজার এবং সর্বশেষ পরিচালক ছিলেন। তার মৃত্যুতে শোকাহত ক্রীড়াঙ্গন। মৃত্যুর আগে তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্যা ভক্ত ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন বাদল রায়।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন