ফারহানা জুঁথী: ডিজিটাল সেন্টারের কারণে গ্রামীণ জনপদেই এখন অনেক ধরনের নাগরিক সেবা মিলছে। জন্ম-মৃত্যুর সনদ, চাকরির আবেদন কিংবা ব্যাংকিংসহ নানা সেবা পাওয়া যায় একই জায়গায়। সারাদেশে এখন ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। আর এসব সেন্টারে গড়ে প্রতি মাসে সেবা নেন ৬০ লাখ মানুষ। শুধু সেবা প্রদানই নয়, সেই সাথে তৃণমূল পর্যায়ে উদ্যোক্তাও গড়ে উঠছে। মিলেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অন্যতম ছিলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে সারাদেশে ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়নে ‘তথ্য ও সেবা কেন্দ্র’ চালু করে সরকার। জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়ার সেই উদ্যোগ এখন আরো বিস্তৃত হয়েছে। নাম বদলে হয়েছে ‘ডিজিটাল সেন্টার’।
‘ডিজিটাল সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এসব সেন্টার পরিচালনা করেন একজন নারী ও একজন পুরুষ উদ্যোক্তা। যারা নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে সেবা গ্রহীতার প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা দেন।
সারাদেশের ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে এখন কাজ করছেন ১৩ হাজার তিনশ’রও বেশি উদ্যোক্তা। সেবা দেয়ার পাশাপাশি অল্প খরচে নতুন উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ধরণের কারিগরি প্রশিক্ষণও দেয়া হয় এখানে।
গ্রামীণ মানুষের পায়ে হাঁটা দূরত্বেই রয়েছে এসব ডিজিটাল সেন্টার। জমি সংক্রান্ত সেবা থেকে শুরু করে চাকরির আবেদনসহ নানা ধরণের সেবা পাওয়া যায় এখানে। যা নিয়ে স্বস্তিতে তৃণমূলের বাসিন্দারা।
ডিজিটাল সেন্টার প্রকল্পের পরিচালক আবদুল মান্নান জানালেন, এভাবে সেবা পাওয়ার কারণে গ্রহীতাদের খরচ, সময় ও পরিশ্রম, সবই কম লাগছে। বদলে যাচ্ছে জীবনমান, যা এনে দিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
দশ বছরের ব্যবধানে এখন দেশজুড়ে ডিজিটাল সেন্টারের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৮৬টি।
তাসলিমুল আলম: সরকারি-বেসরকারি...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন