ইউসুফ রানা: চামড়া খাতে রপ্তানি আয় ক্রমশঃ কমছে। গত তিন অর্থবছর ধরেই এর হার নিম্নমুখী। করোনা অতিমারিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার বিক্রি কমায় এই শিল্পের অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানালেন, ট্যানারিগুলোতে পড়ে আছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার চামড়া। বিপাকে পড়েছেন এই খাতে জড়িত প্রায় ৩ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাইরের দেশের ক্রেতা নিশ্চিত করতে হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্প নগরীকে দ্রুত আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী গড়ে তোলার তাগিদ দিলেন বিশেষজ্ঞরা।
২০২১ সালের মধ্যে চামড়া খাত থেকে বছরে ৫০০ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৭ সালে চামড়াকে ‘প্রডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছিল সরকার। কিন্তু এ ঘোষণার পর থেকে উল্টো এই খাতে রপ্তানি আয় ক্রমশঃ কমছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত চার বছরে এ খাতে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৫০ কোটি ডলার। এর মধ্যে করোনার কারণে ৬ মাসে কমেছে ২৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি আয় ৭৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
চামড়া শিল্পের রপ্তানি আয়
২০১৬-২০১৭ ১২৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার
২০১৭-২০১৮ ১০৮ কোটি ৫৪ লাখ ডলার
২০১৮-২০১৯ ১০১ কোটি ৯৮ লাখ ডলার
২০১৯-২০২০ ৭৩ কোটি ৯৩ লাখ ডলার
সংশ্লিষ্টরা জানান, চামড়া শিল্পের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপে করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের কারণে ক্রেতা মিলছে না। এছাড়া চীনও এখন অনেক কম দামে চামড়া কিনছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামি অর্থবছরে এ খাতের রপ্তানি আয় আরো কমবে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খাতে রপ্তানি আয় কমার একটি বড় কারণ, সাভারের হেমায়েতপুরের চামড়া শিল্প নগরীটি আন্তর্জাতিক মানের না হওয়া। করোনার প্রকোপ কমলে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার চাহিদা দ্রুত বাড়বে। কিন্তু চামড়া শিল্প নগরী আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী গড়ে তুলতে না পারলে বাইরের ক্রেতারা বাংলাদেশে আসবে না বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
এমনকি মানসম্মত চামড়া না পাওয়ায় দেশীয় অনেক কোম্পানিই বিদেশ থেকে চামড়া আমদানি করে পণ্য তৈরী করে বলে জানালেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা অতিমারির...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন