অনলাইন ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের থাকা-খাওয়ার বিলে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়।
আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সমালোচনার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের এখানে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের বিলে অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এই হাসাপাতালের ৩৭শ লোক ৫০টি হোটেলে এক মাস থেকেছেন। আমি বিল দেখেছি। পার রুমের ভাড়া ১১শ টাকা, দিনে তিনবার খাবারের জন্য ৫শ টাকা খরচ হয়েছে। সংসদে যে হিসাবে দিয়ে অভিযোগ করা হলো এটা সঠিক না।
তিনি জানান, ডাক্তার নার্সরা প্রথমে আক্রান্ত হয়েছেন কারণ তারা পিপিই কীভাবে পরতে হয় জানতো না। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পেশেন্ট গাইড, লিফলেট, ব্যানার করেছি। প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছি।
তিনি আরো জানান, ‘আমাদের একটি টেস্ট ল্যাব ছিল। দেড় মাসে আমরা ৬৮টি ল্যাব করেছি। কোটি কোটি মানুষকে তো আর টেস্ট করতে পারবো না। দেশে ৪শ ডেন্টিলেটর রয়েছে। কাজে লাগে মাত্র ৫০টি। সাড়ে তিন শটি পড়ে থাকে। যারা ভেন্টিলেশনে যান দেখা গেছে তারাই মারা গেছেন। কোনো হাসপাতালে সেবা পাচ্ছে না এমন কোনো বিষয় নেই। আমাদের ১৪ হাজার বেড আছে, রোগী আছে ৪ হাজার। মানুষ যদি সচেতন হয়, মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তাহলে সংক্রমণ কমে যাবে।’
এছাড়া ‘আমরা কিছু করিনি এটা ঠিক না। বসুন্ধরা হাসপাতাল বানালাম কীভাবে। মাত্র ২৫ দিনে ২ হাজার বেডের হাসপাতাল বানিয়েছি। আমরা কোথাও যাইনি এটা ঠিক নয়।’
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন