অনলাইন ডেস্ক: প্রবাদ আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। আর বাঙালি মানেই উদরপূর্তিতে প্রতিদিন ভাত না হলে যেন হয় না। কিন্তু এই ভাত খেতে গেলেও আবার কিছু মানুষ দুশ্চিন্তায় থাকে। ভাত খেলে মোটা হয়ে যাবো না তো! সেই ভয়ে রুটি খায় কেউ, কেউবা অনেক বেলা না খেয়েই কাটিয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো অসুখবিসুখে পড়লে ভাত না রুটি খাবো এ নিয়ে আমরা ভাবতে বসি। কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর হবে, প্রশ্ন জাগে মনে। পুষ্টিবিদদের মতে, এই দুই ধরনের খাবারে সম্পূর্ণ ভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে।
তাদের মতে, রুটিতে ঘি, মাখন না মাখানোই ভালো। এতে ফ্যাট ও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, ভাত খেলে বাদামী চালের ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। রাইস ব্রান খেতেও উৎসাহিত করেন তারা। কারণ এ দুটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। রুটি আর ভাত একসঙ্গেও খাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে দুটোর পরিমাপই এক থাকতে হবে। এতে শরীরে ক্যালরি সঠিক মাত্রায় পাওয়া যাবে।
ভাত নাকি রুটি
ভাতে রুটির চেয়ে সাধারণত বেশি ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। অন্যদিকে, ভাতের তুলনায় রুটিতে প্রোটিন, ভিটামিন, সোডিয়াম, আঁশ ও মিনারেল বেশি থাকে। তাই যারা হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তাদের জন্য ভাতের চেয়ে রুটিই ভালো বলেন বিশেষজ্ঞরা। ভাতে স্টার্চ বা মাড় (একটি কার্বোহাইড্রেট,যা গ্লাইকোসাইডিক বন্ডে সংযুক্ত অধিক সংখ্যক গ্লুকোজ ইউনিট দ্বারা গঠিত) থাকায় সহজে হজম হয়। তাই ভাত খাওয়ার কিছুক্ষণ পর ক্ষুধা থেকে যায় অনেক সময়ে।
রুটি আবার আস্তে আস্তে হজম হয়। তাই যাদের ওজন বেশি তারা রুটি খেলেই ভালো হয়। কারোর বদহজম, ডায়রিয়ার সমস্যা থাকলে রুটি না খেয়ে ভাত খেলে ভালো হয়। অন্যদিকে, ভাত ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভাতের চেয়ে রুটিই উত্তম।
ওজন কমাতে ভাত না রুটি খাবেন
ওজন কমানোর বিষয়ে ভাতের চেয়ে রুটিই বেশি উপকারী, এটা বিজ্ঞানসম্মত। রুটিতে বেশি পরিমাণে সোডিয়াম থাকে। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ওজন কমাতে ভাতের পরিবর্তে রুটিই খেতে হবে আপনাকে। এক্ষেত্রে রাতের খাবার হিসেবে রুটিকে বেছে নিন। রাতে রুটি খেতে চাইলে আটটার মধ্যেই খেয়ে ফেলুন। কারণ রুটি হজম হতে সময় লাগে বেশি।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন