অনলাইন ডেস্ক: পেটের অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি খুবই খারাপ। এই বাড়তি মেদ নিয়ে আপনার চিন্তারও শেষ নেই। কত কিছুই না করেছেন পেটের মেদ কমিয়ে একটু স্বাভাবিক হওয়ার জন্য। কিন্তু জানেন কি কি কারনে এই মেদ জমে?
ভাবছেন শুধু খাওয়ার ফলেই পেটে মেদ জমে। তা নয়, খাওয়ার পর যারা ক্লান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে পরেন তাদের মধ্যে দে জমার সম্ভাবনা বেশি। পেটের বাড়িতি মেদের কারণে হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, রক্তচাপের মতো জটিল রোগগুলো সহজেই আপনার মধ্যে বাসা বাধতে পারে।
তবে পেটে অতিরিক্ত মেদ যদি জমেও যায় তা কমিয়ে ফেলতে হবে। আসুন জেনে নেই পেটের অতিরিক্ত মেদ কেন হয়, আর কীভাবে এই মেদ কমাবেন।
যাঁরা শর্করাসমৃদ্ধ খাবার বেশি খান, তাঁদের পেটে দ্রুত মেদ জমে। তাই ভাত, পোলাও, বিরিয়ানি, পরোটা, লুচি, মিষ্টি, কোমল পানীয় খাওয়ায় বিধিনিষেধ মানতে হবে। কোমল পানীয়তে অত্যাধিক ক্যালরি ও চিনি থাকে যা আপনার মেদ বাড়িয়ে দেয়।
সারা দিন চেয়ারে বসে কাজ করলে। এবং মারীরিক পরিশ্রম না করলে পেটে মেদ জমে। তাইা প্রতি এক ঘন্টা পর পর ওঠে দাড়ালে ও একটু হাঁটাচলা করলে ভাল হয়।
অনিদ্রার কারণেও বাড়তে পারে পেটের মেদ।বাড়ে। তবে যাঁরা খাওয়ার পরে দ্রুতই ঘুমিয়ে যান তাদের পেটে মেদ জমা সম্ভাবনা থাকে।খাবার পর ঘুমিয়ে গেলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। সঞ্চিত শক্তি খরচও হয় না। ফলে আপনার পেটে মেদ জমে।
চর্বি ও তেলযুক্ত খাবারে যাঁরা অভ্যস্ত এবং যাঁরা ফাস্টফুডের ভক্ত, তাঁদের পেটেও মেদ জমে সহজেই। আবার যারা না খেয়ে থাকেন তাদের পেটেও মেদ জমতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলে পেটে মেদ জমে।
পেটের মেদ কমাতে তেঁতু খেতে পারেন। এত বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে খেতে পারেন তেঁতুল-পুদিনা শরবত। সকালে গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলেও মেদ কমে।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন