নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক সময় সিংহভাগ বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনে ব্যবহার হতো সাম্পান। সেই গুরুত্ব বহুলাংশেই হারিয়েছে। কর্ণফুলী নদীর পাড়ে সাম্পান তৈরির ইয়ার্ড গুলোতে এখন যদিও বড় বড় আধুনিক যান্ত্রিক নৌযান তৈরি হয়, তবে সাম্পানই তার পথ প্রদর্শক বলে পর্যবেক্ষকদের মত।
৫’শ বছর আগে পর্তুগীজ বণিকরা বাণিজ্যের জন্য চট্টগাম আসলে ঐতিহাসিক চাক্তাই খাতুনগঞ্জ কেন্দ্রিক ব্যবসার প্রসার ঘটে, যাকে সওদা বলে আর ব্যবসায়ীদের বলে সওদাগর। সেই সওদা ও সওদাগরদের সাথে সাম্পানের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য।
সওদার জন্য দুর্গম পথে ভাসমান ফেরীওয়ালা হিসাবে সাম্পানের জুড়ি মেলা ছিল ভার। বাঁশখালি, কুতুবদিয়া ও মহেশখালির লবণ পরিবহণে সাম্পানের ব্যবহার আদিকাল থেকে।
জলপথে সাম্পানের স্থান নিচ্ছে ইঞ্জিন চালিত নৌযানগুলো, আর সড়কে ট্রাক, ট্রেইলর। তবে কর্ণফুলী নদীতে নোঙর করা জাহাজে আর কম নাব্যতার দুর্গম জলপথে এখনও সাম্পানের কদর।
কর্ণফুলী পাড়ে সাম্পান নির্মাণ শিল্পে দুর্দিন এখন, সীমিত কিছু ইয়ার্ডে নির্মিত হচ্ছে। সাম্পান নিয়ে নেই গবেষনা। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিশ্বে বড় বড় জাহাজ নির্মাণে কর্ণফুলী পাড়ের প্রাচীন ঐতিহাসিক খ্যাতির পেছনে মূল অনুপ্রেরণা সাম্পান। হাজার বছর আগে এখানে তৈরী নৌবহর আছে বিভিন্ন মেরিটাইম জাদুঘরে।
সাম্পান যে এই অঞ্চলের প্রতীক আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে ১৯৬৬ সালে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীকে সাম্পানের ব্যবহার করে। ১৯৭২ সালে আমেরিকার বোস্টন থেকে চীনা নাগরিকদের জন্য সাম্পান নামে সংবাদপত্র বের হয়। সাম্পান নামটিও এখন অনেকের বাণিজ্য প্রসারের আশ্রয়।
উজান থেকে প্রাকৃতিক জলধারা যতদিন বহমান থাকবে ততদিন চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের জীবন ও সংস্কৃতির স্রোতধারায় সাম্পান মিশে থাকবে। সাম্পান নিয়ে এমন আবেগঘন চিন্তা, এ জনপদের মানুষের।
এস.এম.সুমন: গুলিস্তানে মুক্তিযোদ্ধা...
বিস্তারিতএস.এম.সুমন: মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া...
বিস্তারিতএস এম সুমন: স্বাধীনবাংলা ফুটবল দলের...
বিস্তারিতআপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন