রাঙামাটি প্রতিনিধি: প্রশাসনের উদ্যোগ সত্ত্বেও রাঙামাটিতে থেমে নেই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস। গত দুই বছরে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির পরও আবারো একই জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ঘরবাড়ি। শহরের ভেদভেদী, যুব উন্নয়ন এলাকা, মনতলা আদাম, সাপছড়ি, পোস্ট অফিস এলাকা, জয়কালি মন্দির, মুসলিম পাড়া, নতুন পাড়া, শিমুলতলী, মোনঘর, সনাতন পাড়া এলাকায় গত বছর সবচেয়ে বেশি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এসব এলাকায় দুই বছরে পাহাড় ধসে নিহতরে সংখ্যা ১৩১।
কিন্তু এরপরও ভিটেমাটি ছাড়তে নারাজ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীরা। বর্তমানে জেলার ৩১টি পয়েন্টকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। যেখানে বাস করছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। ফলে এবারো বর্ষা মৌসুমে প্রাণহানীর শংকা রয়েছে। কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি বসতি স্থাপন।
বর্তমানে জেলায় ৩ হাজার ৩৭৮টি পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার লোক পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। যদিও এসব বসবাসকারী মৃত্যুর ঝুঁকি জেনেও ভিটেমাটি ছাড়তে রাজি নয়। বরং পাহাড়কে ঝুঁকিমুক্ত করে বসবাসের উপযোগী করার দাবি তাদের।
ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে আবারো পাহাড়ধসে প্রাণহানীর শংকা রয়েছে। তবে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ।
রাঙামাটির নানিয়ারচরে ২০১৭ সালের ১৩ জুন পাহাড় ধসে পাঁচ সেনা সদস্যসহ ১২০ জন নিহত হয়। পরের বছর ১১ জুন একই উপজেলায় পাহাড় ধসে মৃত্যু হয় ১১ জনের।
আপডেট এবং সর্বশেষ খবর পেতে সাবস্ক্রাইব করুন ।।
0 মন্তব্য
আপনার মতামত প্রকাশ করুন